প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ৯:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সৌদি আরবের আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবায় বৈশ্বিক মহামারি থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) স্থানীয় সময় দুপুর বারোটা ২৮ মিনিটে সালাম দিয়ে হজের খুতবা শুরু করেন শায়খ আবদুল্লাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়া।
খুতবার শুরুতে আল্লাহতায়ালার প্রশংসা ও হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করেন।
খুতবায় তিনি বৈশ্বিক মহামারি থেকে মুক্তি, গোনাহ মাফ, আল্লাহর রহমত কামনাসহ সম-সাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে বিশ্ববাসীর প্রতি নানা নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
২৮ জুলাই খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে শায়খ আবদুল্লাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন। শায়খ আবদুল্লাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়া হলেন সবচেয়ে বেশি বয়স্ক হজের খতিব।
হজের অন্যতম ফরজ হলো- ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। আরাফাতের ময়দানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা দেওয়া হয়।
এ বছর পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হচ্ছে। দুটি সম্প্রচার মাধ্যমে হজের খুতবা ১০টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হচ্ছে। বাংলা ছাড়াও বাকি নয়টি ভাষা হলো- ইংরেজি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রুশ ও হাবশি। ২০১৯ সালের হজে ৫ ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ প্রচারিত হয়েছিল।
করোনা মহামারির কারণে যারা আগে হজ করেননি, এমন এক হাজার ব্যক্তি এবার হজের সুযোগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মুসল্লিকে ১৬০টি দেশ থেকে বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই সৌদি আরব প্রবাসী। বাকি এক-তৃতীয়াংশ মুসল্লি সৌদির নিরাপত্তাকর্মী ও চিকিৎসক।
হজে অংশ নেওয়া সবার বয়সই ২০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। এবার কোনো হাজিকে কাবা শরিফ স্পর্শ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাঁচ ফুট দুরে থেকে তাওয়াফ, নামাজে অংশগ্রহণ, সাঈসহ হজের সব কার্যক্রম পালন করা হচ্ছে।