প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ৮:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনার ভয়াবহ সংক্রমনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মোংলায় পশু হাটে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ, আর এতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ঈদের বাকি আর মাত্র এক দিন। তাই শেষ মুহুর্তে সকাল থেকে শহরের চটেরহাট বসেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে শেষ মুহুর্তে ব্যাবসায়ীরা বাজারে গুরু এনে পরছে বিপাকে। ক্রেতা নাই এবং দামও অনেক কম তাই লোকসানের আসংঙ্কা করছে গরু ব্যাবসায়ীরা। এদিকে বাজারে গরু ক্রেতা হুমায়ুন কবির বলেন, ঈদের বাকি মাত্র একদিন, তাই কোরবানীর জন্য এর আগে গরু কিনিনাই। এই বাজারে ছোট বড় অনেক গরু রয়েছে, দামও কম তাই এ বছরের ঈদুল আজাহার জন্য গরু কিনতে এসে কমদামে পেয়ে অনেক খুশী আমরা।
অপরদিকে, পশুর হাটে সামাজিক দুরত্ব না মেনে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতারা ছুটে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নজরদারি ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের সমাগম ঘটিয়ে পশু হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন নাগরিকরা। বাজার এলাকার বাবুল জোমাদ্দার বলেন, এ বছরের ঈদের পশু কেনা কাটার জন্য বাজারে আজই বেশী গরু ছাগল এসেছে। কিন্ত বিক্রেতা বেশী-ক্রেতা কম মনে হচ্ছে, তার পরেও ছোট্ট বাজার, এখানে গাঘেসা-ঘেষী করে মানুষ চলাচল করছে। মরন ধাতক করোনা ভাইরাসের জন্য একটা ঝুকি বলে আমরা মনে করি।
বাজারের মোস্তফা কামাল ইজারাদর বলছে, এ অঞ্চলের মানুষের বাজারটি দীর্ঘদিনের পরিচিত। শুধু গরু ছাগল নয় এখানে মানুষের চাহিদা মাফিক সব কিছুই পাওয়া যায়। তবে কোরবানীর জন্য সবে মাত্র বাজারটি জমজমাট হয়েছে, এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বাজারে তাদের লোক রয়েছে হ্যান্ড মাইক দিয়ে সর্বক্ষনিক সচেতন করা হচ্ছে এবং তাদের তরফ থেকে বাজারে আসা সকলের কাছে মাক্স বিতারন করা হচ্ছে। এদিকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছে, ঈদের শেষ মুহুর্তে পশু বিক্রির হাটে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, মানুষের ভিড়ে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তবে তাদের অভিযান এবং মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।