ঢাকা-১৮ উপনির্বাচন: এলডিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আবু জাফর সিদ্দিকী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর আবু জাফর সিদ্দিকী। যিনি ডক্টর জাফর সিদ্দিকী নামে পরিচিত। একজন সৎ, পরিশ্রমী ও যোগ্য ব্যক্তি। শিক্ষাবিস্তারে যার রয়েছে বিশেষ অবদান। যিনি একাধারে একজন শিক্ষক, লেখক, কবি ও রাজনীতিবীদ।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকীর ছাত্রজীবন থেকেই জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা যেমন উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা (বাংলা ও ইংরেজি) ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করে বেশ সুনাম অর্জন করেন।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকীর পরিচয় কিছুটা ব্যতিক্রমভাবে প্রকাশ করা যায়। যেমন তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত নাট্যকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব, প্রকৌশলী এ.বি. সিদ্দিকী সাহেবের সুযোগ্য সন্তান। তার পিতা প্রকৌশলী এ.বি. সিদ্দিকী হূমায়ূন আহমেদের ‘অয়ময়’ নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ‘নিবারন’ নামে খ্যাত।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকীর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কিশলয়’ এ নিয়মিত জাদু প্রদর্শন করে এদেশে ক্ষুদে শিল্পী হিসেবে বেশ প্রশংসনীয় সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেন। শুধু জাদুশিল্পীই নয়, তিনি একজন গায়ক ছিলেন। ময়মনসিংহের ২য় মিউজিক্যাল ব্যান্ড ‘রকস্ট্রিট’ মিউজিক্যাল ব্যান্ডে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ‘রকস্ট্রিট’ ব্যান্ডের ভোকাল ছিলেন বর্তমান সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি। ডক্টর জাফর সিদ্দিকীর বড়ভাই আবুল হাসনাত হিল্টন ছিলেন একজন জাতীয় খেলোয়াড়, যিনি ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের ফুটবলার ছিলেন।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো কোন বিষয়টি নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গর্বিত, এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমার বাবা এবং দুই চাচা (মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হানিফ সরকার এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবু তাহের সরকার) তিনজনই মুক্তিযোদ্ধা এবং আমি তাদের উত্তরসূরী ,এটা মনে হতেই সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ হয়। তাদের আদর্শ আমাকে সর্বদাই অনুপ্রাণিত করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করবার।”
ডক্টর জাফর সিদ্দিকী বাংলাদেশের তিনটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত কৃতিত্বের সহিত শিক্ষাগ্রহন করেন। তার শিক্ষাজীবনের সোনালী দিনগুলোর কথা বলতেই তিনি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের কিছু স্মৃতিচারণ করেন। তিনি ময়মনসিংহের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী এর প্রিফেক্ট ছিলেন। এছাড়াও তিনি নজরুল হাউজের হাউজ প্রিফেক্ট ছিলেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি পেয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনেক স্নেহ ও ভালবাসা। ডক্টর জাফর সিদ্দিকী বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজ ঢাকা নটরডেম কলেজে পড়াশুনা করেছেন। তিনি ঢাকা নটরডেম কলেজে কবিতা আবৃত্তি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে বেশ সুনাম অর্জন করেন। তৎকালীন সময়ে ATN বাংলা চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাদুভিত্তিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘মায়াজাল’ পরিচালনা করতেন এবং জাদু দেখাতেন।
তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানান, তার বড়ভাই আবুল হাসনাত হিল্টনের অকাল মৃত্যুতে তিনি খুবই শোকাহত হন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি নিজের জীবনকে ইসলামের আলোয় বদলে ফেলেন।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকী পরবর্তীতে অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স করেন পাশাপাশি পলিটিক্যাল সাইন্সে মাষ্টার্স করেন (Dhaka University) এবং শুধু তাই নয় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি (Distance) থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
তার কর্মজীবন শুরু হয় বাংলাদেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এ প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে। দীর্ঘ আট বছর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার আলো ছড়ানোর কাজে আত্মনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে তিনি হলি ফ্যামিলি পাবলিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে নিবেদিত হন। এরপর তিনি ইংরেজি শেখানোর জন্য একটি অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, যা ‘The DJ METHOD’ নামে বাংলাদেশে সুপরিচিত। তিনি শিক্ষার বিস্তারের লক্ষ্যে পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সংযুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে ‘ALBATROSS GLOBAL EDUCARE’ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বর্তমানে উত্তরায় ৪ নং সেক্টরে স্বনামধন্য স্কুল, ‘চাইল্ডকেয়ার ইন্ট্যারন্যাশনাল স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও বর্তমানে তিনি INTERNATIONAL ACADEMIC RESEARCHERS ASSOCIATION OF INDIA (IARA)-এর বাংলাদেশ উইং এর প্রেসিডেন্ট এবং একই সাথে তিনি SEACOM SKILLS UNIVERSITY, SHANTINIKETAN, WEST BANGAL, INDIA- এর একজন পিএচডি রিসার্চার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকীর জন্ম হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে, যার দাদা নাজিমউদ্দীন সরকারও ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তবে বর্তমানে বেশ অনেক বছর ধরেই তিনি ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
ডক্টর জাফর সিদ্দিকী একজন দেশপ্রেমিক, দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই তার মূলমন্ত্র তাই তিনি ২০০৮ সালে রণাঙ্গনে বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের হাত ধরে রাজনীতিতে পদার্পন করেন। তিনি বর্তমান এলডিপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য।রাজনীতিতে তার মেধা প্রজ্ঞা অতুলনীয়।
তিনি প্রাণের শহর ঢাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে ঢাকা ১৮ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে আপনাদের দোয়া ও মনোয়নপ্রত্যাশী। তাকে সমর্থন দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণের স্বার্থে কল্যাণকর কিছু করবার সুযোগ করে দেবেন এটাই তার প্রত্যাশা।