প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ২:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢালিউডের অসামান্য এক অভিনেত্রী ববিতা। অভিনয়, জাতীয়-আন্তর্জাতিক বলয়ে উপস্থিতি মিলিয়ে তার অন্যরকম খ্যাতি। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) এই নায়িকার জন্মদিন।
সাদাকালো যুগের নায়িকা হয়ে ববিতার পর্দায় আগমন। শাসন করেছেন রঙিন পর্দাও। সময়ের পরিক্রমায় মা-ভাবির চরিত্রে এসেছেন, কিন্তু অভিনয়ের গুণে ববিতা একজনই।
করোনার কারণে এবারের জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন রাখেননি ববিতা। গণমাধ্যমকে বললেন, জন্মদিনে কিছুই করছি না। করার মতো পরিবেশও নেই। মনটাও ভালো না। আমার তিন ভাই আছেন তিন দেশে। সুচন্দা আপাও আছেন বিদেশে। আমার একমাত্র ছেলে অনিক কানাডায়। এ জন্য মনটা ভালো না। মনটা বার বার বলছে কখন ছেলেকে কাছে পাব!
তবে বিশেষ এই দিনের প্রথম প্রহর থেকে স্বজন, ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় সিক্ত হচ্ছেন অভিনেত্রী।
জানালেন, এই দিনে তার চাওয়া আরও সুন্দর পৃথিবী। বলেন, সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে এতদূর এসেছি। এখনো সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই। পৃথিবী আগের মতো সুন্দর হোক— এটাই প্রত্যাশা করি।
১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই যশোরে জন্ম ববিতার। তার পারিবারিক নাম ফরিদা আক্তার পপি। শিক্ষাজীবন শুরু হয় যশোর দাউদ পাবলিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পড়াকালে বড় বোন সুচন্দা চলচ্চিত্রে পা রাখলে পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন। গেন্ডারিয়ায় গড়েন আবাস।
কিংবদন্তি নির্মাতা ও ভগ্নিপতি জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে অভিষেক হয় ববিতার। এখানে তিনি রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। আর ফরিদা আক্তার পপি থেকে ‘ববিতা’ হয় উঠেন জহির রায়হানের উর্দু ছবি ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’র মাধ্যমে। তবে নায়িকা হিসেবে প্রথম ছবি ‘শেষ পর্যন্ত’ মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, যেদিন ববিতার মা মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ ছবিতে তার নায়ক ছিলেন রাজ্জাক।
আলোচিত ছবি ‘টাকা আনা পাই’ ববিতাকে চলচ্চিত্রের শক্ত আসন দিলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’কে। এই ছবিতে অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ববিতা। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনিই বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সবচেয়ে বেশিবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।