প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ১১:১৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ‘বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীতে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। এখন যারা নেতৃত্বে আছেন, তারা স্বাধীনতাবিরোধী নন। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা যখন জীবিত ছিলেন, তখন বিএনপি জামায়াতের সঙ্গত্যাগ করেনি। হঠাৎ এখন বিএনপি কেন জামায়াতকে ছেড়ে দিচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।’
গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক অলি আহমদ এ মন্তব্য করেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়েও সমালোচনা করেন।
কর্নেল অলি আহমদ বলেন, ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গঠন করা হয়েছিল তা ছিল মূলত বিএনপিকে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য। তাদের মিশন ছিল, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটকে চিরতরে ক্ষমতার বাইরে রাখা। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছু বিএনপি নেতাও। ড. অলি আহমদ বলেন, ‘আমাকে যখন ঐক্যফ্রন্টে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তখন আমি সরাসরি না করে দিয়েছিলাম। কারণ, ড. কামাল হোসেন একজন নামকরা আইনজীবী। তাঁর সঙ্গে আইন পেশা মানায়, রাজনীতি নয়। ড. কামাল যেখানে সভা-সমাবেশ হয়েছে, সেখানে জয় বাংলা বলে শুরু করছেন, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শেষ করেছেন। একটি বারও জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। এ ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল বিএনপির সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য।’
কর্নেল অলি আহমদ ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে যাদের দাওয়াত দেওয়া হয় তাদের যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি ২০ দলের কোনো মিটিংয়ে যাননি এবং শেষের কয়েকটি মিটিংয়ে এলডিপির কোনো প্রতিনিধিও পাঠাননি বলে জানান।