বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
হবিগঞ্জে ২০ লাখ টাকায় ছাত্রলীগের থানা সেক্রেটারির পদ বেচাকেনা!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ১:১৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়ার কথা বলে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে।


জেলা পর্যায়ের এই দুই নেতা মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সাধারণ সম্পাদক বানানোর প্রলোভন দিয়ে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পর উল্টো চরম হুমকির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পি।

তারা হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি লিখে দুজনে স্বাক্ষর করে মাহতাবুর আলম জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। এর বিপরীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর ১১ লাখ টাকা এবং সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

অভিযোগপত্রের সঙ্গে টাকা লেনদেন এবং কথোপকথনের যাবতীয় রেকর্ডপত্রও জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলছেন, নেতৃত্ব  বিক্রির নামে টাকা লেনদেনকারীদের ছাত্রলীগে থাকার অধিকার নেই। শিগগিরই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনা প্রমাণিত হলে যারা টাকা দিয়েছে এবং যারা টাকা নিয়েছে দুই পক্ষই ছাত্রলীগ করার অধিকার হারাবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। যাতে তারা কেউই ভবিষ্যতে আর ছাত্রলীগে যোগ দিতে না পারে।

সম্প্রতি মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেয়ার কথা উঠে।  এরমধ্যেই ছাত্রলীগ কর্মী জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনকে ফোন করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি জানান, আপনার ভাই জাপ্পি যেহেতু ছাত্রলীগ করে চাইলে তাকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি পদ পাইয়ে দেয়া যাবে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানও তার সঙ্গে কথা বলেন। তারা উভয়ে শাহীনের ছোট ভাইকে কমিটিতে স্থান পাইয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। 

এরপর জাপ্পিকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হচ্ছে এর প্রমাণস্বরূপ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত একটি কমিটির স্ক্যানকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয় জাপ্পির প্রবাসী ভাই শাহীনের কাছে। দেখা গেছে, গত ১৮ মে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে লেখা আছে আগামী এক বছরের জন্য মাধবপুর উপজেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হলো। এতে সভাপতি শহীদ আলী শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাবুর আলম জাপ্পি। 

এর প্রেক্ষিতে আমেরিকা প্রবাসী শাহীন ৭৮০০ ডলার, যার ক্যাশ ডিপোজিট নম্বর: ৯৫, একাউন্টের শেষের নম্বর: ১২৩০ তারিখ ১৮/০৫/২০২০। আমেরিকায় সাইদুরের এক আত্মীয়র একাউন্টে দেন।  ওই ব্যক্তি সাইদুরের পক্ষ থেকে টাকাগুলো বুঝে নেন।  তাছাড়া গত ১০  মে বাংলাদেশে সাইদুরের ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে (একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫) ৩৮৪৫১৬৪ নং রশিদে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। (যার একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫ এবং বাকি টাকা নগদে জমা দেয়া হয়।)

এছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা সাইদুরের একাউন্টে জমা দেওয়া হয়। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিকে ৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নগদে ৫ লাখ ও ৪ লাখ টাকার চেক দেয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। 

এদিকে মাহতাবুর আলম জাপ্পির ভাই আমেরিকা প্রবাসী শাহীন বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছি। এখন টাকা পেয়ে পদতো দিচ্ছেই না, পাল্টা টাকা নেয়ার কথাও স্বীকার করতে চায় না। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বেশ দিন ধরেই শাহীনের সঙ্গে আমার কথা হতো। এসব কথা  রেকর্ড করে রেখেছে সে। তবে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য না।হবিগঞ্জে ২০ লাখ টাকায় ছাত্রলীগের থানা সেক্রেটারির পদ বেচাকেনা!


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়ার কথা বলে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহির বিরুদ্ধে।


জেলা পর্যায়ের এই দুই নেতা মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সাধারণ সম্পাদক বানানোর প্রলোভন দিয়ে টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পর উল্টো চরম হুমকির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পি।

তারা হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি লিখে দুজনে স্বাক্ষর করে মাহতাবুর আলম জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। এর বিপরীতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর ১১ লাখ টাকা এবং সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

অভিযোগপত্রের সঙ্গে টাকা লেনদেন এবং কথোপকথনের যাবতীয় রেকর্ডপত্রও জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলছেন, নেতৃত্ব  বিক্রির নামে টাকা লেনদেনকারীদের ছাত্রলীগে থাকার অধিকার নেই। শিগগিরই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনা প্রমাণিত হলে যারা টাকা দিয়েছে এবং যারা টাকা নিয়েছে দুই পক্ষই ছাত্রলীগ করার অধিকার হারাবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। যাতে তারা কেউই ভবিষ্যতে আর ছাত্রলীগে যোগ দিতে না পারে।

সম্প্রতি মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেয়ার কথা উঠে।  এরমধ্যেই ছাত্রলীগ কর্মী জাপ্পির আমেরিকা প্রবাসী ভাই শাহীনকে ফোন করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি জানান, আপনার ভাই জাপ্পি যেহেতু ছাত্রলীগ করে চাইলে তাকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি পদ পাইয়ে দেয়া যাবে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানও তার সঙ্গে কথা বলেন। তারা উভয়ে শাহীনের ছোট ভাইকে কমিটিতে স্থান পাইয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। 

এরপর জাপ্পিকে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হচ্ছে এর প্রমাণস্বরূপ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত একটি কমিটির স্ক্যানকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয় জাপ্পির প্রবাসী ভাই শাহীনের কাছে। দেখা গেছে, গত ১৮ মে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে লেখা আছে আগামী এক বছরের জন্য মাধবপুর উপজেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হলো। এতে সভাপতি শহীদ আলী শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাবুর আলম জাপ্পি। 

এর প্রেক্ষিতে আমেরিকা প্রবাসী শাহীন ৭৮০০ ডলার, যার ক্যাশ ডিপোজিট নম্বর: ৯৫, একাউন্টের শেষের নম্বর: ১২৩০ তারিখ ১৮/০৫/২০২০। আমেরিকায় সাইদুরের এক আত্মীয়র একাউন্টে দেন।  ওই ব্যক্তি সাইদুরের পক্ষ থেকে টাকাগুলো বুঝে নেন।  তাছাড়া গত ১০  মে বাংলাদেশে সাইদুরের ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে (একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫) ৩৮৪৫১৬৪ নং রশিদে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। (যার একাউন্ট নম্বর: ১৮৭১৫১০০৫০৮৯৫ এবং বাকি টাকা নগদে জমা দেয়া হয়।)

এছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা সাইদুরের একাউন্টে জমা দেওয়া হয়। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিকে ৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নগদে ৫ লাখ ও ৪ লাখ টাকার চেক দেয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। 

এদিকে মাহতাবুর আলম জাপ্পির ভাই আমেরিকা প্রবাসী শাহীন বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছি। এখন টাকা পেয়ে পদতো দিচ্ছেই না, পাল্টা টাকা নেয়ার কথাও স্বীকার করতে চায় না। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বেশ দিন ধরেই শাহীনের সঙ্গে আমার কথা হতো। এসব কথা  রেকর্ড করে রেখেছে সে। তবে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]