প্রকাশ: বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব দিয়ে বাংলাদেশে আবারও শুরু হচ্ছে ফুটবল। এসময় বাংলাদেশ তিনটি হোম ম্যাচ খেলবে এবং একটি দেশের বাইরে। করোনা সংকট কাটিয়ে অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও খেলায় ফিরতে যাওয়া বাংলাদেশ ফুটবল দলের মূল বিষয় হচ্ছে ফিটনেস, ট্রেনিং সেশন নিয়ে কিভাবে আগানো যায়।
বুধবার (২৯ জুলাই) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক হেড কোচ সাইফুল বারী টিটো, বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি এবং দ্য ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার আনিসুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আহমেদ রাকীব।
আনিসুর রহমান বলেন, করোনার সময় আমাদের মাইন্ড সেটআপ টা কেমন আছে সেটা মূল বিষয়। হোমে এডভান্টেজে খেলার সুযোগ থাকলেও প্লেয়াররা যদি মনে ভয় রাখে যে সে ইনফেক্টেড হতে পারে তাহলে কিন্তু প্রোপারলি ট্রেনিংয়ে মনোনিবেশ করা নিয়ে এটা একটা প্লেয়ারের জন্য অনেক দূরহ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। যে দিন থেকে ফিফা ম্যাচগুলোর তারিখ ঘোষণা করেছে, সেদিন থেকেই আমাদের কোচ থেকে কিছু প্রোগ্রামের লিস্ট দিয়ে দিয়েছে প্লেয়ারদেরকে। সেই প্রোগ্রামগুলো খেলোয়াড়রা মেনে চলছে। আমি মামুনের সাথে একমত যে ঘরে বসে ট্রেনিং করা আর মাঠে বসে ট্রেনিং করা একদমই আলাদা বিষয়। অনেকেই আছে গ্রামে চলে গিয়েছে। তারা নিজ বাসায় ট্রেনিং নিচ্ছে, কিন্তু জিম ট্রেনিংটা তারা করতে পারছে না। জিমের সেসব ইন্সট্রুমেন্ট তাদের কাছে নেই। আগস্টের ৭ তারিখ থেকে যে ক্যাম্প শুরু হবে এবং আইসোলেশন ক্যাম্পে যে টানা ১৪ দিন ট্রেনিং সেশন হবে যেখানে ৬ জন করে প্লেয়ার আলাদাভাবে ট্রেনিং করবে এবং ২২ তারিখ থেকে ফরেন স্টাফরা এটা টেকওভার করবে। সে হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল কোচ জেমি ডে ছয় সপ্তাহ সময় পাবে। সে ছয় সপ্তাহে নির্ভর করবে যে আমরা কতটুকু রিকোভারি করতে পারলাম।