মামুনুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে ফিজিক্যাল ফিটনেস সমস্যা হলেও আমাদের কোচ অলরেডি সোশ্যাল গ্রুপে আমাদেরকে ট্রেনিং সেশন, একমাসের খাবার তালিকা ও অন্যান্য বিষয়গুলো সে দিয়ে রেখেছে। আমাদের ফিটনেস ধরা রাখা নিয়ে করোনাকালীন প্রথম তিন মাস আমাদের জন্য প্রচুর ডিফিকাল্ট ছিল। হায়ার লেভেলে ফুটবল খেলতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্প্রিড ট্রেনিং, ইন্ডরেন্স ট্রেনিং, বল ছাড়া যেসব ট্রেনিং আছে এইগুলো করতে হবে। কিন্তু আমরা যখন বাসায় ছিলাম তখন শুধু ফিটনেস ট্রেনিংয়ে আমরা জোর দিয়েছিলাম। যারা পার্সোনাল ক্লাবে যুক্ত ছিল তারাই ওইসব ট্রেনিংগুলো রেগুলার করতে পেরেছে। ইন্টারন্যাশনাল লেভেলে ফিটনেস ধরে রাখার জন্য প্রথম তিন মাস আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। এই তিন মাস আমরা টোটালি ফুটবলের বাইরেই ছিলাম। রমজান ঈদের পর থেকে আমি পার্সোনালি মাঠের ট্রেনিং, ক্লাবের জিম থেকে শুরু করে সবই করেছিলাম কিন্তু টিম ট্রেনিংয়ের বিকল্প কিছুই না। ফিজিক্যাল ফিটনেস, ম্যানটাল ফিটনেস এই সবগুলো একমাত্র টিম ট্রেনিংয়েই সম্ভব হয়। আমরা যদি আরও আগে থেকে এই ট্রেনিংগুলো টিম হিসেবে করতে পারতাম তাহলে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। আমরা যদি সারাদিন দৌড়ায় তা কোন কাজেই আসবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা মাঠে ফিরছি। আমরা কোচ থেকে যে ইনফরমেশনগুলো পেয়েছি তা যে যার অবস্থান থেকে ১০০% করার চেষ্টা করেছি। আমরা যখন ক্যাম্পে ট্রেনিংয়ে নামবো তখন আমদের রিকোভারি যদি তাড়াতাড়ি হয়ত তাহলে আমরা রিকোভারি ইম্প্রুভ করতে পারবো। আর যদি না হয় তাহলে আমরা পিছিয়ে থাকবো অন্যদের থেকে।
তিনি আরও বলেন, আমি লাস্ট তিন মাস ধরে কিন্তু মাঠের ট্রেনিংয়ের মধ্যেই আছি কারণ যেহেতু আমি ন্যাশনাল টিমে আছি সেহেতু আমাকে অবশ্যই নিজেকে ওইভাবে তৈরি করতে হবে। ঢাকায় থাকাকালীন আমি যখন আবহানি মাঠে ট্রেনিং করি তখন ধানমন্ডি ক্লাবের অনেক প্লেয়াররা আমার সাথে ট্রেনিং করে। এখন আমি চিটাগাং আছি। এখানে আমি মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে স্টেডিয়ামে ট্রেনিং করার অনুমতি নিয়েছি। লাস্ট তিন মাস আমার যে গ্যাপটা গিয়েছে তা আমাকে এই মাঠের ট্রেনিংয়েই পূরণ করতে হবে। এই সময়ে আমরা যদি ট্রেনিং না করি তাহলে আমাদের ফিটনেস লেভেল একবারেই নিচে নেমে আসবে।