প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০, ৭:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে নতুন করে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার,ধলেশ্বরী নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে টাঙ্গাইল সদর,কালিহাতী,গোপালপুর,ভূঞাপুর ও নাগরপুরসহ ৬টি উপজেলার ১শ’৩৭টি গ্রামের মানুষ।পানিবন্দি ওই সব গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির ফসল।ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকার শত শত ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সুত্রে জানাগেছে,টাঙ্গাইল সদর,ভূঞাপুর,কালিহাতী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ভূঞাপুর পৌরসভার একাংশ ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানাগেছে,জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে।ওই সব গ্রামের ২১ হাজার ১শ’৭৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বেশির ভাগই যমুনার চরাঞ্চল।