রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা নিয়ে চুক্তির বিষয়ে ‘জানতেন না’ বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অন্য একটি সভা শেষে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তবে রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হিসেবে চুক্তির বিষয়টি জানা ছিলো না।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে উদ্বৃত করে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে, জবাব পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়ার এখতিয়ার শুধু অধিদফতরের রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক্ষেত্রে কোনো দায়ভার নেই।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে রিজেন্টের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
ছবিতে দেখা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ একটি কাগজে স্বাক্ষর করছেন, তার পাশে বসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পেছনে দাঁড়ানো সাবেক স্বাস্থ্যসচিব, বর্তমান স্থানীয় সরকার সচিব, জননিরাপত্তাসচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কতটুকু হয়েছে তা সরকার খতিয়ে দেখছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের কঠোর বিচার করতে হবে। তাদের প্রশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট নিয়ে গণমাধ্যমের খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নো কমেন্টস, এ বিষয়ে জানি না আমি। নরমাল নিয়ম অনুযায়ী সব কাজ হয়। নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার এখতিয়ার শুধু অধিদপ্তরের রয়েছে মন্ত্রণালয়ের এক্ষেত্রে কোনো দায়ভার নেই।
উল্লেখ্য, করোনার ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালকে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার প্রতারণার মামলায় তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন ডা. সাবরীনা আরিফ।