সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, সাহারা আপাকে আমি ছোটবেলা থেকেই দেখছি। ৯৬ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ফার্মগেট। হরতাল মানেই আওয়ামী লীগের মিছিলে কালোমতন একজন মহিলা। তিনি তখন এত বড় নেত্রী আমরা বুঝতাম না। ২০০১ সালে সময় হরতালের সমর্থনে আমরা পুরো ফার্মগেট এলাকায় মিছিল বের করলাম। সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাহারা খাতুন আপা। তখন পুলিশ আমাদের এলাকার তিনটা ছোটভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আমি খুব চিন্তায় পরেছিলাম, অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া একটা ছেলের বাবাকে আমি কি জবাব দিবো। এরপর সাহারা খাতুন আপা পরের দিন তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি একটা টাকাও নেননি। উল্টো আমাদের ওই সময়ে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। এরপর ২০০৪ সালেও আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পর জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন। আমরা যখনই সময় পেতাম, তখন সাহারা আপার বাসায় নিয়মিত চা খেতে যেতাম। তখন আমরা সাহারা আপার বাসায় যে আসবাবগুলো দেখেছি, দুইটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার পরও সেখানে কোনো পরিবর্তন দেখিনাই। আমরা তাকে দেখেছি, মমতাময়ী মায়ের ভূমিকায় কিভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন।
সাহারা খাতুনের সততা নিয়ে সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন কিনা জানি না; ৪ বছর আগে সিঙ্গাপুরের একটি হাসাপাতালে বিল দিতে পারেননি বলে, আরো দুইদিন বেশি থাকতে হয়েছিল। আজকের সমাজে অনেক ছোটখাটো নেতারা অনেক টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন, সেদিকে সাহারা আপা ছিলেন সততার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি হয়তো বই লিখে যেতে পারেননি, তবে তার সাথে ঘনিষ্ঠ যারা আছেন, তারা বই লিখলে নতুন প্রজন্ম সাহারা খাতুনকে জানতে পারবে।