নাজমা আক্তার বলেন, আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদেনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আমরা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা জানি, সাহারা আপা একজন কর্মীবান্ধব নেত্রী ছিলেন। শুধু আওয়ামী লীগের নয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। তিনি সততা, ত্যাগ দিয়েই শেখ হাসিনার বিশ্বাস অর্জন করতেন। আমরা অনেক নারী নেত্রীই পুরুষ নেতাদের কাছে সব কিছু বলতে পারতাম না। সবাই আগে সাহারা আপার কাছে যেতাম। নেত্রীকে কিছু বলতে না পারলে, আমরা সাহারা আপাকে বলতাম। আমাদের সকল অভিযোগ অনুযোগ বলতে পারতাম সাহারা আপার কাছে। বিএনপি-জোট সরকারের আমলে হরতালের সময় আমাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হতো। তখন থানায় একদল আইনজীবী নিয়ে হাজির হয়ে খবর নিতেন। রাতে খাবার দিতেন। এরপর দিন আদালতে আমাদের পক্ষে দাঁড়াতেন জামিন করার জন্য। অনেক সময় জেলে যেতে হয়েছে, তখন তিনি জেলে গিয়ে আমাদের সাহস দিতেন। তিনি অনেক মানবিক নেত্রী। আইনজীবী হিসাবে অনেকে মনে করতেন, আমাদের পাশে দাঁড়ালে লোকসান হবে। কিন্তু তিনি আমাদের পাশে সব সময়ই ছিলেন। আমরা অন্য কারো কাছ থেকে এমনটা আর পাবো না।
তিনি আরো বলেন, ওয়ান ইলেভেনে যখন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেদিন রাতে অনেকে ফোন করেছিলাম। অনেকেই ফোন ধরেননি। কিন্তু সাহারা আপা ঠিকই ফোন ধরেছিলেন। যুব মহিলা লীগের নেত্রী হিসাবে তখন আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ৬ মাস পলাতক থাকতে হয়েছিল। ওই সময় সাহারা আপা সবসময়ই খোঁজ নিয়েছেন। পুরুষ নেতারা অনেক সময় নারী নেত্রীদের অবজ্ঞা করেন, নারী নেত্রীরা যদি সাহারা আপার মতো মানবিক হন, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। আমি আরেকটি কথা বলতে চাই, ব্যক্তি সাহারা খাতুন আপার কোনো দুর্নাম কেউ কোনোদিন করতে পারবে না। তার উত্তরা এলাকার বাসিন্দা হিসাবে আমরা একটা দুঃখ পেয়েছি, এই করোনার কারণে বড় করে জানাযা করতে পারেনি।