আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আপা। আমি ১৯৬৬ সাল থেকে রাজনীতি শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। ৭৫ এর পর মাত্র ৫-৭ জন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চাইতেন। তাদের মধ্যে সাহারা আপাও ছিলেন। আমি একদিন শুটিং থেকে খুব সকালে সাহারা আপার বাসায় গিয়ে চা আর ডাল পুরি খাওয়ার কথা কোনোদিন ভুলবো না। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং সাহারা খাতুন আপার মধ্যে নেতৃত্বে মিল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু একবার সিরাজগঞ্জে গেলে সেখানকার লোক আজকের বঙ্গবন্ধু সেতু চেয়েছিল, তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আরে মিয়া মনসুর আলী, তুমি তো বলবে সেতুর কথা। তেমনি সাহারা আপাও এক অনুষ্ঠানে আমাকে বললেন, লোকজন আমার কথা শুনতে চায়।’ তিনি নিজে না খেয়ে কর্মীদের খাওয়াতেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের মামলা লড়েছেন। তিনি বলতেন, তোরা তো আমাকে কিছু দিতে পারবি না। অনেক সময় আদালতে আসামিদের আগেই উপস্থিত হতেন সাহারা খাতুন আপা। আমরা একজন বড় মাপের নেত্রী হারিয়েছি। ভবিষ্যতে তার মতো নেত্রী পাওয়া আমাদের জন্য দুস্কর হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের মাধ্যমে আমরা সকল আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত ছিলাম। তখন সাহারা আপা আমাদের পাশে দিলেন।
ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি ফারুক আরো বলেন, অভিমান থেকেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু বুজতেন এবং জানতেন বলেই ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভেতরে যে জ্বালা রয়েছে, তা আমরা কতজন দেখতে পেরেছি। আমি মনে করি, নেত্রীর চারপাশে অনেক সমস্যা আছে। সেগুলো আমাদের বলতে হবে। রাজপথে আমাদের আবার নামতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের মুক্তিুযুদ্ধের কথা বলতে হবে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ছিলেন আমাদের প্রদীপ। ৬ মার্চ রাতে রেসকোর্স ময়দানে ঘুমিয়েছিলাম। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনেক আদর পেয়েছি। আমাদের অভিমান ভেঙে কাজে নামতে হবে।