বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের সংগঠিত করেছিলেন সাহারা খাতুন: কামরুল ইসলাম
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ১০:৩৮ পিএম আপডেট: ১৩.০৭.২০২০ ১১:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যে কয়জন নেতা মাঠে সক্রিয় রাজনীতি করেছেন, নিয়মিত নির্যাতন সহ্য করেছেন তাদের মধ্যে সদ্য প্রয়াত এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন অন্যতম। তার মতো কর্মীবান্ধব নেত্রীর অভাব কখনোই পূরণ হবার নয় বলে দাবি করেন আলোচকরা। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
সোমবার (১৩ জুলাই) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সাথে আমার পরিচয় বা সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তার সাথে ১৯৭৫ সালের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার দীপ্ত পদচারণা ছিল। ১৯৮৭ সালে আমি যখন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হই, তখন তিনি ওই কমিটিতে ছিলেন সহ-সভাপতি। পাশাপাশি তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। হরতালের সময় তিনি ফার্মগেট এলাকায় মিছিলের সামনে ছিলেন। অনেক সময় পুলিশী নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। বিশেষ করে ২০০১-২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আমলে আওয়ামী লীগের বিশেষ করে নারী কর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল। তখন সাহারা আপা, আমিসহ আরো কয়েকজন দিনরাত আদালতে কাজ করেছি। আওয়ামী লীগে আইনজীবীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার ৩৫ বছরের আইন ক্যারিয়ারে তার নেতৃত্বেই কাজ করেছি। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার সাথে একসাথে কাজ করেছি। তিনি তৃণমূলপর্যায় থেকে উঠে এসে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ প্রেসিডিয়াম পদে আসীন হয়েছেন। খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া আসনে মাত্র ২ থেকে আড়াইহাজার ভোটে হেরেছিলেন। তবে ১৯৯৬ সালে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে রহমত উল্লাহকে মনোনয়ন দেয়া হলে, তিনি তার জন্য নির্বাচনের মাঠে কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের সংগঠিত করেছিলেন সাহারা খাতুন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ১৬৩ দিনের কার্যদিবসে একদিনের জন্যও অনুপস্থিত ছিলেন না তিনি। সাহারা খাতুন আপা ত্যাগ, তিতিক্ষা আর সাহস দিয়েই রাজনৈতিক মাঠে কর্মীদের জন্য কাজ করে গেছেন।