বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ সরকারের পক্ষে টকশো করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য। এরপরও বলে, তিনি না-কি হাওয়া ভবনের লোক। আসলে যখন ফাঁস হয়ে যায়, যখন মুখ দেখানোর কিছু থাকে না, ধরা পড়ে যায়, তখনই বিএনপি অথবা হাওয়া ভবনের বলে চাপিয়ে দেয়।
সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এইচ ড্যাব) উদ্যোগে কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ওরা দুর্নীতি-লুটপাট সব করে। যখন ধরা পড়ে যায়, তখন বলে হাওয়া ভবনের লোক। তাদের বলি, এতদিন লালন করেছেন, পুষেছেন, সমৃদ্ধি দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা অর্জন করেছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীকে নেগেটিভ সনদ দিয়েছেন, আর যাদের নেগেটিভ, তাদের পজিটিভ সনদ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, সাহেদের কেলেঙ্কারি, জেকেজির চেয়ারম্যানের কেলেঙ্কারি- এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আজকে যখন চারদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে কোথায়, রুই-কাতলা তো ধরা পড়ে না। শনিবার নামমাত্র একজন ধরা পড়লেন।
রিজভী আরও বলেন, আমরা জানতে চাই, এর পেছনে গডফাদার কারা? এর পেছনে সেই ক্ষমতাশালী লোক, তারা কারা? তারা তো ধরা পড়ে না। সাহেদের সঙ্গে, জেকেজির সঙ্গে আরও জড়িত যারা আছেন, তাদের তো আপনারা ধরতে পারবেন না। রুই-কাতলাদের আপনারা ধরতে পারবেন না। কারণ ওরা ক্ষমতাশালী লোক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কয়েকদিন ধরে আপনারা সংবাদপত্রের পাতায় দেখেছেন। মাস্কের দুর্নীতি কে করেছে? মন্ত্রীর ছেলে। করোনার জন্য জীবন বাঁচানোর ভ্যান্টিলেটর, সেই ভেন্টিলেটর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কে? ক্ষমতাসীন দলের লোক অথবা মন্ত্রীর আত্বীয়-স্বজন। যখন পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম চারদিকে ছি ছি পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নেই, যার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সম্পর্ক নেই। ছবি তুলেছেন সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে, তাদের করোনা টেস্ট করার জন্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি যখন অনুমোদন দেন, সেটা তো সরকারেরই অনুমোদন।
সংগঠনের সভাপতি শফিকুল আলম নাদিমের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব একেএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক জোটের সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা বক্তব্য রাখেন।