ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, এই মুজিববর্ষে আমরা সকল অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুদ্ধে নেমেছি। আমাদের প্রথম দিকে অনেক অবব্যস্থাপনা ছিল, সেগুলো কাটিয়ে উঠে লড়াইটা চালানো হচ্ছে। এই করোনায় আমি আমার মাকে হারিয়েছি। মায়ের অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল, তাই তিনি সহ্য করতে পারেননি। মাকে নিয়ে কবরে শুয়েছি, তবুও আমার করোনা হয়নি। আমি এবং পরিবারের অনেকের টেস্ট করানো হয়েছে, সেখানে কারোই করোনা পজিটিভ আসেনি। এবার আসি সমসাময়িক বিষয়ে। আমি নাম নিয়েই বলছি, রিজেন্টের সাহেদকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। কিন্তু তাকে আগে কখনো আওয়ামী লীগ করতে দেখেনি। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এক দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হলেও কিছু দুষ্টুচক্রও গড়ে উঠে। সাহেদ এবং ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এটা আমাদের আশার কথা। আর একটা কথা, কেউ রাষ্ট্রপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রী-এমপিদের সাথে ছবি থাকলেই কেউ আওয়ামী লীগার হয় না।
তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহেই মালয়েশিয়াতে দুইটা বিমানবন্দরে স্বল্পসময়ে এন্টিজেন টেস্ট শুরু করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশেও করা যেতে পারে। কারণ ইতিমধ্যেই বহিবিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে পরেছি। ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের যে ধারণা ছিল করোনা নিয়ে ডাক্তারদের মাঝে, মার্চে এসে সেটা ভালো হয়েছিল। কিন্তু মে মাসে সেখানে ধ্বঃস পরেছে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয়েছে, কিন্তু সবাই যে দুর্নীতিবাজ সেটা আমি বিশ্বাস করি না। বি.বাড়িয়াতে একটা জানাযাতে যে পরিমাণ লোক হয়েছিল, তাতে মহামারী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে হয়নি। এছাড়া রাজধানীতে কড়াই বস্তি এবং মোহাম্মদপুরের বিহারীদের থাকার জায়গাগুলোতেও সেখানে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না। যদি কারো আক্রান্ত হয়, শুরুতেই পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া যায়, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অথবা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেই সুস্থ হওয়া সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে অনেক সময় নানা বিদ্রুপের কথা বলেছেন, কিন্তু দেশ আজ ডিজিটাল প্লাটফর্মেই চলছে। অর্থনীতিকে ঠিক রাখতে হলে দেশীয় উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে।