মুনতাকিম আশরাফ বলেন, শুধু বাংলাদেশই নয়; পৃথিবীর সব দেশেই ব্যবসায় ধ্বঃস নেমেছে। এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো রাষ্ট্রও অর্থনীতিতে ধাক্কা খেয়েছে। আমাদের রপ্তানি আয়ের ৪৫ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে। দেখুন, ইন্ডিটেক্সের জারা ফ্যাশনের ২৫ হাজার আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পোশাক খাতে অর্ডার কমে আসবে। তবে এই করোনায় আমাদের সামনে সুযোগ আসছে। চীন ইতিমধ্যেই ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারতে অনেক কারখানা শিফট করেছে। এই সুযোগটা আমাদেরও নিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র ও মাজারি শিল্প, বৃহৎ শিল্প এবং পোশাক খাতের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাজারি শিল্পের জন্য ব্যাংকগুলো তেমন সহায়তা করছে না। করোনার আগেও ব্যাংকগুলো থেকে ২০০ কোটি টাকা করে দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারা নানা সুযোগ নিলেও প্রতিদান দিচ্ছে না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিবাজরা কখনোই আওয়ামী লীগার হতে পারে না। এই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, তিনি কৃষিকে সবচে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আগে আমরা মাছ উৎপাদনে ৪র্থ ছিলাম, বর্তমানে ২য় স্থানে এসেছি। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশে ৯৭ লাখ হেক্টর আবাদি জমি ছিল, বর্তমানে সেটি ৫০ লাখ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ কমলেও খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। এই পুরোটার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার যে ভিশন রয়েছে, সেগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক সময় বাধাগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, তার মতো আর কেউ দেননি। আমরা জাতি হিসাবে খুবই আবেগপ্রবণ এবং হাইপার। কোনো ঘটনা নিয়ে খুব দ্রুতই মাতামাতি করি, তা আবার দ্রুতই ভুলে যাই। এখন বাইরে গেলে বুঝা যায় না, দেশে করোনা মহামারি চলছে। নিম্ন শ্রেণীর মানুষ লকডাউন, মাস্কপরা, সামাজিক দূরত্ব কিছুই মানছেন না। এখন আর আমাদের লকডাউনে যাওয়ার সুযোগ নেই। জীবন ও জীবিকা একসাথেই চালিয়ে নিতে হবে।