ড. আবু সিদ্দিকি বলেন, আপনারা যদি দেখেন ম্যালেরিয়া ভাইরাস ছড়িয়েছিল ১৮১৮ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। ম্যালেরিয়া থেকে এইডস’র কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। করোনা ভাইরাস এসেছে গত বছরের শেষ দিকে। এখনই কোনো ভ্যাকসিন পাওয়াটা কম। স্বাভাবিকভাবে যদি করোনার ভ্যাকসিন আমাদের পেতে হয়, তাহলে আরো ১৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে যে গতিতে ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, তা আগামী ২ বছরের মধ্যে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে চীন এখনই ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। আমাদের দেশে এখন যে কাজটা করতে হবে সেটা পরীক্ষা। সেখানে পিসিআর টেস্ট এবং এন্ডিবডি টেস্ট করাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, চীনা ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে সব কোম্পানিই তাড়াহুড়ো করে কাজ শুরু করে দিয়েছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে পরিস্থিতিতে। চীনের ক্ষেত্রে মানুষগুলোকে তো ওরা পশুর মতো চিন্তা করে। সেখানে ভ্যাকসিন দিয়ে রোগ সংক্রমণের হার কমানোর চেষ্টা করছে। চীন যেহেতু কারো কাছ থেকে অনুমতি নেয় না, তাই এগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, ওদের অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। আশা করছি, তারা পারবে। মাস্ক ব্যবহার, ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এখন বলা হচ্ছে ১২ ফুট পর্যন্ত দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশে যারা টেস্ট করছে, তারা পুরোপুরি প্রশিক্ষিত নয়। তারা ভুল করছে। তখনই মনগড়া রিপোর্ট দিচ্ছে। এছাড়া ২০০৯ সালের মেশিন কেনা হয়েছে। শেখ হাসিনার একার পক্ষে সব সামাল দেয়া তো সম্ভব নয়, তাহলে এই মন্ত্রী, ডিজিদের কি কাজ? তাদের কেন চাকরিতে রাখতে হবে। আমাদের দেশের ডাক্তার অনেক বেশি ভালো, কিন্তু তারা কেন বাংলাদেশে পারছে না।