রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, আজকের পত্রিকাতে আছে যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরেরে মধ্যে এখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে যে, আমি তো রিজেন্ট হসপিটালকে অনুমোদন দিতাম না, আমাকে যদি মন্ত্রণালয় থেকে না বলা হতো। অর্থাৎ মিনিস্ট্রি থেকে বলা হয়েছে যে, রিজেন্ট হসপিটালকে অনুমতি দাও তারা পরীক্ষা করবে। তাহলে কে রেসপনসিবল? এ ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উচিত এখনি পদত্যাগ করা এবং তাকে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। কেন তিনি এই কাজ করলেন?
তিনি বলেন, আজকে দুঃখ হয়, লজ্জা হয় যখন দেখি প্রচ- দুঃসময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করতে গিয়ে দুর্নীতি এবং তার সঙ্গে জড়িত কে? আওয়ামী লীগের সদস্য আওয়ামী লীগ। আজকে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে, ভঙ্গুর হয়ে গেছে। যে হারে লুটপাট করেছে আপনারা সবাই দেখেছেন, গণমাধ্যম দেখে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণমাধ্যমের যারা কর্মী ও সাংবাদিক আছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, এই চরম বৈরীতার মধ্যেও যখন কোনো সংবাদ প্রকাশ করা বিপদজনক, তখন তারা অনেকটা প্রকাশ করছেন যেগুলো জনগণ জানতে পারছে এই সরকারের আমলে, আওয়ামী লীগ আমলে কিভাবে দুর্নীতি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, প্রথম দিকে মানুষ এমনভাবে যারা দিন আনে দিন খায় তারা কষ্ট করছে, এখন তো কষ্ট আরও বেড়ে গেছে। একদিকে সব খুলে দেওয়ার পরে সংক্রমণ বেড়েছে, মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেওয়া কর্মসূচিসমূহের প্রশংসা করে তিনি বলেন, একটা কথা বলে রাখতে চাই, গোটা পৃথিবীর সভ্যতা আগের অবস্থায় আর থাকবে না, পরিবর্তন হবে, হচ্ছে। আজকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা, অর্থনীতিবিদরা সবাই বলছেন, এই করোনাভাইরাসের ফলে ওয়ার্ল্ড উইল নট রিমেন দ্য সেইম। এটা বদলাবে। কী বদলাবে, কীভাবে বদলাবে সেটা আমরা সবাই জানি না। বাট চেইঞ্জেস কামিং, পরিবর্তনগুলো হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে আজকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন, আমাদেরকে আজকে জনগণের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন এবং এই যে একটা সরকার যারা জোর করে দখলদারী সেজে আমাদের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। চরম দুর্দিনেও তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। তারা লুট করছে। আমরা ব্রিটিশ আমলে দেখেছি যে, ব্রিটিশরা সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে, পাকিস্তান আমলে দেখেছি যে, পাকিস্তানিরা সব লুট করে নিয়ে গেল, এখন দেখছি যে, আওয়ামী লীগ তারা মানুষের পকেট কেটে সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই, আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে চাই এবং জনগণের জীবিকাকে আরও বিকশিত করতে চাই।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালন অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর সভাপতি ডা. হারুন অর রশিদও বক্তব্য রাখেন।