প্রকাশ: রোববার, ১২ জুলাই, ২০২০, ৪:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাথায় নেই হেলমেট, মুখে নেই মাস্ক এমনকি পায়ে নেই কোন জুতা। এমন অবস্থার মধ্যেও সড়কের উল্টোপথ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে সাংবাদিকদের সাথে র্যাব পরিচয় দিয়ে চোখ রাঙালেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট কুষ্টিয়া টিকিট কাউন্টারের সামনে।
প্রত্যক্ষদশর্ী ও ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় সংবাদ সংশ্লিষ্ট কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন প্রথম আলো ও এবিসি রেডিও প্রতিনিধি রাশেদ রায়হান এবং গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, ভোরের পাতা প্রতিনিধি মো.আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মানব কণ্ঠের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি কামাল হোসেন। সবাই একত্রে মোটরসাইকেল করে ফেরার পথে কুষ্টিয়া কাউন্টারের সামনে ট্রাক ও বাসের জট থাকায় ট্রাকের লাইনের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় দৌলতদিয়া ঘাটগামী দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল (চট্র মেট্রো ল-১২-৩৯৮১) নাম্বারের মোটরসাইকেল আরহী সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ব্রেক কষে থামেন। মাথায় হেলমেট নেই, মুখে নেই মাস্ক এমনকি পায়ে জুতা নেই। একটি টিশার্ট পরিহিত, চোখে কালো রঙের চশমা পড়া এবং দুই কানে হেডফোন লাগিয়ে ৩০-৩৫ বছর বয়সী যুবক মোটরসাইকেল থামিয়ে কমান্ড ষ্টাইলে কেন এইখান দিয়ে মোটরসাইকেল বের করা হচ্ছে জিজ্ঞাসা করেন। অল্পের জন্য তাঁর সাথে সংঘর্ষ লাগেনি।
কিভাবে মোটরসাইকেল চালান? আইনকানুন কি জানানেই? পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে র্যাবের হেড কোয়াটারে কর্মরত র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে সাংবাদিকদের দিকে চোখ রাঙিয়ে তেড়ে আসেন। এসময় স্থানীয় লোকজনের ভিড় পড়লে তারা উল্টো ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, আপনি তো উল্টোপথে বেপরোয়া গতিতে মোটরাসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া আপনার মাথায় হেলমেট, পায়ে জুতা এমনকি মুখে মাস্কও নেই। আবার আপনিই চোখ রাঙাচ্ছেন। এসময় স্থানীয়রা ছবি তুলতে গেলে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের ছবি তুলতে গেলে দ্রুত চম্পট দিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। তাৎক্ষনিকভাবে সাংবাদিকরা বিষয়টি র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প কমান্ডার এবং রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারকে অবগত
করেন।
এ প্রসঙ্গে র্যাব-ফরিদপুর ক্যাম্প কমান্ডার, সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই নাম্বারের মোটরসাইকেল আরোহীকে তাকে চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলে তার আচরণ এমন হওয়ার কথা না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পকে খতিয়ে দেখতে বলছি।