করোনা দুর্যোগে তৃণমূলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
প্রকাশ: রোববার, ৩ মে, ২০২০, ৯:০৭ পিএম আপডেট: ০৩.০৫.২০২০ ৯:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সারাদেশে চলমান আওয়ামী লীগের ত্রাণ কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান এবং সকলের সমন্বিত উদ্যােগে করোনা প্রতিরোধ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রদতিকে সমুন্নত রাখার জন্য অনানুষষ্ঠানিক আলোচনা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
আজ রবিবার (৩ মে) বিকাল ৪টায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে গত কয়েক দিনের মতো আজও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আলোচনায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় জেলা-মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে করোনা সংকট মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সারাদেশে চলমান কর্মপ্রয়াস বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য সাহাবুদ্দীন ফরাজী প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত নেতবৃন্দ- আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং সহমর্মিতা নিয়ে দুরবস্থাগ্রস্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান এবং দলীয় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা প্রদান আরও জোরদার করার অনুরোধ জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অনির্ধারিত এ সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ, চিকিৎসা নিশ্চিত করণ, আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুযোগ সম্প্রসারণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি, খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকের ধান কাটতে সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, বাজার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ঈদের আগে শ্রমজীবী মানুষের বেতন-বোনাস প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, করোনা কালীন সময়ে সংবাদকর্মীদের অবদান ও তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, গণমাধ্যম এবং সংবাদকর্মীদের উন্নয়নসহ সার্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়।