প্রকাশ: রোববার, ৩ মে, ২০২০, ৬:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকায় মুখে মাস্ক পরে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে এক তরুণ। এরপর সে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। থানায় মামলা হওয়ার পর ধর্ষককে শনাক্ত করতে মাঠে নামে পুলিশ।
সিসি ক্যামেরায় ধর্ষককে শনাক্ত করতে পারলেও মুখে মাস্ক পরা থাকায় তার পরিচয় নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরে সিসিটিভির ফুটেজে মাস্ক পরা ছবিটি দেখে শিল্পী দিয়ে আঁকানো হয় ওই তরুণের অবয়ব। এরপর ওই তরুণকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতার ধর্ষকের নাম টুটুল (২০)।
পুলিশের শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার শাহ আলম যুগান্তরকে জানান, গ্রেফতারকৃত টুটুলের বাসা মুগদা এলাকায়। সে কদমতলীর মুরাদপুরে তার নানা ও খালার বাসায় মাঝে মাঝে বেড়াতে আসত।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করার পর তার বাবা কদমতলী থানায় একটি মামলা করেন। এরপর মুরাদপুর এলাকায় ধর্ষণের স্থানটির আশেপাশের ১৬টি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে এক তরুণ মেয়েটিকে হাত ধরে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু তরুণের মুখে মাস্ক পরা। ফলে তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে সাখওয়াত তমাল নামের এক শিল্পীকে দিয়ে সন্দেহভাজন ওই তরুণের স্কেচ এঁকে নেয়া হয়। ওই স্কেচের ১০০ কপি পোস্টার বানানো হয়।
তিনি আরও জানান, পোস্টার এলাকায় টানানোর পর একজন ফোন করে ওই তরুণের পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মুগদা এলাকা থেকে ধর্ষক টুটুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফাতরকৃত টুটুল শিশুটিকে ধর্ষণের কথা শিকার করেছে।