প্রকাশ: শনিবার, ২ মে, ২০২০, ১০:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফেনীতে নিম্নমানের মরিচ, রং, ও ধানের কুড়া মিশিয়ে মসলা তৈরীর অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ৬৫মণ ভেজাল মরিচের গুড়া ধ্বংস, দুটি প্রতিষ্ঠান সীলগালা করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসক সহকারী কমিশনার এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন। শনিবার (২ মে) দুপুরে শহরের তাকিয়া রোডে মসলা তৈরির ১০-১২টি কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, মানবদেহের ক্ষতিকর রং, নিম্নজাতের মরিচ ও ধানের কুড়া মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল মসলা এমন অভিযোগে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় তাকিয়া রোডের মো. জহিরের মালিকীয় কারখানায় ভেজাল মরিচের গুড়া তৈরির সময় ২৪ বস্তা ও পাশবর্তী সততা ট্রেডার্সে রাখা ২৭ বস্তা জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মো. জহির ও সততা ট্রেডার্সের মালিক বাসু চন্দ্র নাথ রনি পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে দুইটি প্রতিষ্ঠানে সীলগালা করে দেয়া হয়। পরে ফেনী পৌরসভার সহযোগিতায় উদ্ধারকৃত ভেজাল মসলাজাত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসক সহকারী কমিশনার এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কারখানায় মসলা তৈরির নামে অসাধু ব্যবসায়ীরা হলুদ ও মরিচের গুড়ায় মানবদেহের ক্ষতিকর রং, নিম্নজাতের হলুদ, মরিচ ও ধানের কুড়া মিশিয়ে বাজারজাত করা আসছে। এসব ভেজাল পণ্য নামী-দামী কোম্পানীর মোড়কে ফেনীর বড় বাজার, উপজেলা ছোট-বড় হাট-বাজার ছাড়াও নোয়াখালী, রামগতি, চৌদ্দগ্রাম, করেরহাট, বারইয়ারহাটসহ বিভিন্নস্থানের পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল রোধে বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা, ফেনী পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিকসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।