প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলপথে পন্য পরিবহনে লাগেজ ট্রেন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে: রেলপথমন্ত্রী
'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বল্প খরচে রেলপথে পন্য পরিবহনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা লাগেজ ট্রেন চালু হচ্ছে। যাতে কৃষিপন্য সহ যে কোন ধরনের পন্য সরবাহ করে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে পারে। বৃহস্পতিবার ৩০ এপ্রিল হতে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প গড় থেকেও যাতে ব্যবসায়ীরা তাদের পন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে পারে সেই ব্যবস্থাও আগামিতে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুুষদের নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি চান একজন মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে। একজনে যেন দুই/তিন বার না পায় আবার কেউ পায় না এমনটা যেন না হয়। মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে পারে না তাদেরও প্রধানমন্ত্রী ত্রান দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেকটা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই করোনার মধ্যে আমরা আবার মহাবিপদে পড়ে গেছি। এই বিপদের দিনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বাস্থ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে। রোগটা এমন যে আমরা নিজেরাই বহন করি।"
রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন শুক্রবার দুপুরে বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে করোনা উপলেক্ষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের ত্রান সহায়তা বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যোগাযোগ বন্ধ ছিলো, গণপরিবহণ বন্ধ ছিলো। আমরা আমাদের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু মালবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে। এখন থেকে আমরা টমেটো, পিঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সমস্ত কিছু লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে পরিবহণের ব্যবস্থা নিয়েছি। আজ থেকে চালু হয়েছে। যাতে দেশের কোথাও নিত্যপণ্যের সংকট না হয়।
মন্ত্রী বলেন,আমাদের প গড় থেকে টমেটো, তরমুজসহ বিভিন্ন শাকসবজি স্বল্প ভাড়ায় বেশি পরিমাণে পরিবহণ করতে পারি সেজন্য প গড়ের ব্যবসায়ী হোক বাইরের ব্যবসায়ী হোক আমরা তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের রেলযোগাযোগে এটি একটি নতুন সংযোজন। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী অনুমতি নিয়ে এসেছি। তিনি আমাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। শেষ জেলা হওয়ায় আমাদের প গড়ের উপর দিয়ে কোন জেলার মানুষ যায় না। এ জন্য আমরা এখনো ভাল আছি। তাই সংক্রমন ঠেকাতে পারলে আমরা নিরাপদ থাকতে পারবো। কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চত করতে হবে। শাক সবজি লাগাতে হবে। এক ইি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। গণমাধ্যমকর্মীদের ক্রান্তিকালেও সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনায় সারা বিশে^ দুই লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে উন্নত দেশগুলোতেই বেশি করে মারা গেছে। কাজেই স্বাস্থ বিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস আর আস্থা নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কোরান তেরওয়াত করেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে এই মহাবিপদ কেটে যাবে।
মন্ত্রী ময়দানদীঘি ইউনিয়নের ৪২৬ জনের মাঝে চাল, ডাল, শাকসবজি ও নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন। এখানে বোদা উপজেলার ১৮ টি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিকট প্রধানমন্ত্রী ভালোবাসার উপহার হিসেবে অনুদানের চেক বিতরণ করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ১০ হাজার, ১৫ হাজার ও ২০ হাজার চেক প্রদান করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাট, বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আলম টবি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, প গড় পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলায়মান আলী উপস্থিত ছিলেন।