ফেনীতে করোনাভাইরাস প্রদুর্ভাবে কর্মহীণ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তায় বুধবার পর্যন্ত জেলায় সরকারী সহায়তা এসেছে ৭৭ লাখ টাকা ও ১৭শ ৪৮ টন চাল। এরমধ্যে শিশুখাদ্যের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় ১ হাজার ৬২০টন চাল ও ৭১ লাখ টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪৪৪ টন চাল ও শিশুখাদ্য ৩২০ প্যাকেট । ফেনী পৌরসভায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৮০ টন চাল। সোনাগাজীতে ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ২৮০ টন চাল ও ১৬০ প্যাকেট শিশুখাদ্য। দাগনভূঞায় ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ২৬৩ টন চাল ও ১৬০ প্যাকেট শিশুখাদ্য। ছাগলনাইয়ায় ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ২১৫ টন চাল ও শিশুখাদ্য ১৪০ প্যাকেট। ফুলগাজীতে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, ১৭৫ টন চাল ও ১২০ প্যাকেট শিশুখাদ্য এবং পরশুরামে ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা, ১৪৫ টন চাল ও ১০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র আরো জানায়, জেলায় ৯৫ হাজার ৩৪৭ মানুষ খাদ্য সহায়তা পাবে। সহায়তার জন্য তালিকাভূক্তির সংখ্যা সদর উপজেলায় ২২ হাজার ৯৪ জন, সোনাগাজীতে ২৬ হাজার ৪০৩জন, ফুলগাজীতে ১২ হাজার ৯৫০জন, পরশুরামে ১২ হাজার জন, দাগনভূঞায় ১১ হাজার ৯০০জন ও ছাগলনাইয়ায় ১০ হাজার জন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, জেলায় প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, সিএনজিচালকসহ প্রত্যেকটা জায়গায় মানুষের ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রাণের পাশাপাশি বিতরণকৃত শিশুখাদ্যের মধ্যে রয়েছে গুড়োদুধ, চিনি, খেজুর, সুজি, বল সাবান, টয়লেট সাবান।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তালিকাভূক্তদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ছয় উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে। ফেনীতে যে পরিমাণ ত্রান এসেছে এতে একজন মানুষও না খেয়ে থাকার কোন সম্ভাবনা নেই।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, ত্রাণকার্য সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য জেলায় দশটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা বন্টনের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করেই তালিকা করা হচ্ছে। সে তালিকা অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে প্রথম ধাপের সবার একবার পাওয়ার পর আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যক্তি আবার পাবেন।