প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ৯:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. লুৎফুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার দুঃস্থ, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন। প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৫শ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ বাংলাদেশেও মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে যারা ঘরে রয়েছে সেই সব কর্মহীন মানুষগুলোর সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। কেউ কেউ আবার ব্যাক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে এসেছেন। তেমনি কালীগঞ্জ পৌর পিতা মো. লুৎফুর রহমান এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় কর্মহীন পরিবারগুলোর সহায়তায়।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী মধ্যপাড়া গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের ২৫০টি পরিবারকে তিনি নিজ হাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেকের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিচ্ছেন।
কথা হয় পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, কালীগঞ্জ পৌর মেয়র প্রকৃতপক্ষেই একজন মানবিক মানুষ। তিনি শুধু এই করোনা মহামারীতে নয় সব সময় পৌর এলাকার যে কোন ওয়ার্ডের, যে কোন গ্রামের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। তার মত একই কথা বললেন দুর্বাটি গ্রামের নাছির উদ্দিন, চৌড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন ও দেওয়ালেরটেকে গ্রামের কাদির কালু।
মেয়র বলেন, করোনায় দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য এবং অসহায় মানুষের মুখে একটু হাসি ফুটানোর জন্য এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পৌর এলাকার কোন মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে থাকলে আমি ভালো থাকতে পারি না। তাই পৌর এলাকার কোন মানুষই অনাহারে-অর্ধাহারে থাকবে না ইনশাআল্লাহ। মানবিক কারণেই আমি আমার ব্যক্তিগত চেষ্টায় এগিয়ে এসেছি দুঃস্থ, অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে থাকার জন্য। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করবো এই দুঃসময়ে পৌরবাসীর পাশে থাকার জন্য। আশা করব কর্মহীন মানুষগুলোর সহায়তায় আমার মতো করে সমাজের বিত্তবানরাও এগিয়ে আসবেন। পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা মেনে সকলেকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন পৌর পিতা।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে কালীগঞ্জ পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দুঃস্থ, অসহায় ও দরিদ্র সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের মধ্যে এ আর্থিক সহায়তা দেওয়া শেষ হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সবকটি গ্রামে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার পরিবারের হাতে এ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আর এই ১০ হাজার পরিবারের বাহিরেও যদি কোন পরিবার বাদ যায় তাহলে তাদেরকেও এই আর্থিক সহায়তার আওতায় আনা হবে বলে জানান মেয়র।