প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ইসলামের নির্দেশিত প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান রয়েছে। তবে শর্ত হলো, আমলগুলো নিয়ত সহিহ রেখে, ইখলাসের সঙ্গে ও নবীজির সুন্নত অনুযায়ী আদায় করতে হবে। কিছু নফল আমলের বিশেষ ফজিলত রয়েছে, যেগুলোর প্রতিদান সরাসরি জান্নাত। হাদিসের আলোকে এমন আটটি আমল তুলে ধরা হলো।
প্রথমত, সকাল-সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইসতেগফার পাঠ। এটি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেন।
দ্বিতীয়ত, প্রতিদিন সুরা মুলক পাঠ। এটি কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করে এবং কিয়ামতের দিন সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
তৃতীয়ত, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ। এটি জান্নাতে প্রবেশের বাধাগুলো দূর করে।
চতুর্থত, অজুর পর দুই রাকাত নামাজ আদায়। হাদিসে বলা হয়েছে, একাগ্রতার সঙ্গে এই নামাজ আদায় করলে জান্নাত নিশ্চিত।
পঞ্চমত, অজুর পর কালেমা শাহাদাত পাঠ। এতে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যায়।
ষষ্ঠত, আজানের জবাব দেওয়া। মুয়াজ্জিনের কথার জবাব দিলে জান্নাত লাভ হবে।
সপ্তমত, সালামের প্রসার, মানুষকে খাওয়ানো এবং শেষরাতে নামাজ আদায়। এই তিনটি কাজ জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা দেয়।
অষ্টমত, প্রিয়জন হারিয়ে ধৈর্যধারণ করা। হাদিসে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, মুমিন বান্দা প্রিয় কিছু হারিয়ে ধৈর্য ধরলে তার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্য কোনো প্রতিদান নেই।
মুমিনদের উচিত এই আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করুন। আমিন।