প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৪৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যারা জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় তারাই নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে। দেশে আরও রাজনৈতিক দল আসবে তা নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। জনগণ কোন দলকে গ্রহণ করবে বা বর্জন করবে তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। কোনো হঠকারিতার কারণে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য যেন ব্যর্থ না হয় সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারেক রহমান। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এজন্য নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর থেকেই সারাদেশ থেকে আসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পদচারনায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হতে থাকেেই ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। বলেন, সংস্কারের আড়ালে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হলে জনরোষ তৈরি হবে।
তারেক রহমান বলেন, ৫৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সরকার এখন। অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে দেশ সংকটমুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নূন্যতম সংস্কার করেই নির্বাচন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম কাজ। তারেক জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও জানান তিনি। নতুন দল গঠনের জন্য নির্বাচন দেরি করছে কিনা সে প্রশ্ন রাখেন বিএনপি নেতাদের।
ছাত্রদলকে পড়ালেখার পাশাপাশি জনকল্যাণমুখী কাজ করার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।