প্রকাশ: বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য প্রত্যেক বিভাগে একটি করে অফিস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
ফাউনন্ডেশন থেকে প্রাপ্ত অর্থের জন্য নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের যাতে ঢাকায় আসতে না হয় সেজন্য বিভাগীয় অফিস নেওয়া হবে বলে জানান সারজিস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নিহত ও আহতদের পরিবারের কেউ ফাউন্ডেশনে এসে যেন খারাপ ব্যবহার না পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এ সময় জানান সারজিস আলম। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিন শহিদ ও আহত পরিবারকে দেওয়া সহায়তার পরিমাণও জানায় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
জুলাই আন্দোলনে শহিদদের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৮২৬ জন, তার মধ্যে ৬২৮ জনের পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। বাকি আছে ১৯৮ জনের শহিদ পরিবার বলে জানিয়ে ফাউন্ডেশনের বর্তমান ব্যাংক হিসাব তুলে ধরেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে জমা ছিল ১০৯ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার টাকা। তা থেকে এখনও পর্যন্ত সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বর্তমানে অ্যাকাউন্টে জমা আছে ৬১ কোটি টাকার মতো। এ আন্দোলনে আহত ১১ হাজার ৩০৬ জনের মধ্যে মাত্র ১৬০১ জনকে সহযোগিসতা দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমরা সরকারের কাছে আহতদের একটা লিস্ট চেয়েছিলাম, তারা এটি দিয়েছে।’
স্বচ্ছতার জন্য আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসাপত্রে চিকিৎসকদের সত্যায়ন লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে চিকিৎসাপত্র জালিয়াতি করে সুযোগ-সুবিধা নিতে চেয়েছিল। এ মাসে শহিদ পরিবারকে আবারও সরকার ঘোষিত বড় অঙ্কের (৩০ লাখ) টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।”
আহত অনেকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত নয়, কিন্তু তিনিও সুযোগ-সুবিধা নিতে এসেছেন, এমন অভিযোগও রয়েছে বলেও জানান তিনি।