সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গরিব ও অসহায়, দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী রায়গঞ্জ উপজেলার ক্ষীরতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বুরুজ) মাঠ চত্বরে বগুড়া জাহাঙ্গীরাবাদ সেনাবাহিনীর ২৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ১১ পদাতিক ডিভিশনের উদ্যোগে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প শুরু হয় যা দিনব্যাপী চলে।
মেডিকেল ক্যাম্পেইনে সিএমএইচ বগুড়া ও ২৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের কর্নেল শরীফ মোহাম্মদ রেজাউল মাসুদ, লেফট্যানেন্ট কর্নেল এ কে এম রাশেদ-উল -হাসান, লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ এনামুল হক, লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. রকিব উদ্দিন মজুমদার, লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ রাসেলসহ ১৬ জন চিকিৎসক মেডিসিন, সার্জারি, নাক কান ও গলা, চর্ম, চক্ষু, শিশু, স্ত্রী ও ধাত্রী বিদ্যা, ডেন্টাল সার্জন এ সেবা দেন।
এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রপচার, ইসিজি, এক্সরে, রক্ত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষীরতলা গ্রামের ১০৮ বছরের বৃদ্ধা তারা বিবি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ অসুক বিসুকে হাসপাতালে যাইতে পারি না। আজকে আমাদের গ্রামে সেনা বাহিনীরা এসে ওষুদ দিতাছে, টাকা নেয় না। আমার বুকে বেদনা, দম ছারতে কষ্ট অয়। আমারে দেখে ওষুদ
দিছে। তাদের ওছিলায় আমি ভালো হয়ে দোয়া করুম। আল্লায় সেনা বাহিনীদের ভালো রাইখো।’
একই এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম (৪৮) ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী সজিব জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পায়ে ও হাতে টিউমার হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিতে পারি নাই। আজ সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে একজন চিকিৎসককে দেখিয়ে তার দেওয়া পরামর্শে বিনামূল্যে অপারেশন করে নেই। এজন্য আমরা খুশি।
ক্ষীরতলা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, উদ্যোগটি খুবই ভালো, মানবিক উদ্যোগ। আমাদের দেশে এমনও মানুষ আছে, যারা অর্থের অভাবে ডাক্তারের কাছে যাইতে পারে না, সেসব মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজন এই উদ্যোগ। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে এই উদ্যোগ সবসময় নেওয়া উচিত।
মেডিকেল ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেডিকেল ক্যাম্পেইনসহ নানাবিধ জনসেবামূলক কার্যক্রম
পরিচালনা করছে ১১ পদাতিক ডিভিশন ও বগুড়া অঞ্চলের সেনাসদস্যরা। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যহত থাকবে।