প্রকাশ: বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বই উৎসবের নামে বিগত দেড় দশক ধরে অর্থের অপচয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রিয়াজুল হাসান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে, যা আজ থেকেই অনলাইনে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি প্রথমবার বই উৎসব করে তৎকালীন সরকার। এরপর টানা ১৫ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথমদিনে উৎসব করে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উৎফুল্ল হয়েছে শিক্ষার্থীদের মন।
দেড় দশকের সেই রীতিতে এবার ভাটা পড়েছে। ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ’ এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার ঘটা করে বই উৎসব বাতিল করেছে। তাছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বই ছাপার কাজ দেরিতে শুরু করায় সব বই ছাপাও শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সব বই হাতে পেতে শিক্ষার্থীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই ও মাধ্যমিকের ৮টি বই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এছাড়াও ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ও ২০ তারিখের মধ্যে সকল শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।
রিয়াজুল হাসান বলেন, ৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেয়া হয়েছে। আরও ৪ কোটি বই দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেয়া হয়ে গেছে আরও ৪ কোটি বই দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।