প্রকাশ: বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর কর্মকর্তাদের আন্দোলন ও আপত্তিকর মন্তব্যে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু হয়েছে।
গাজীপুর সিটির আঞ্চলিক কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান সজীবকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের আদেশে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়। এ ছাড়া এক জেলা প্রশাসক (ডিসি), একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস), এবং বিআরইবির একজন যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে অভিযুক্ত ডিসি প্রশাসন ক্যাডারদের দুর্বল করার অভিযোগ তোলেন। অপরদিকে অভিযুক্ত পিএস সরকারকে সমালোচনা করে আলাদা প্রশাসনিক কাঠামোর দাবি তোলেন। সাদিকুর রহমান ও বিআরইবির যুগ্ম সচিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এসব ঘটনায় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বাড়ে।
সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, চাকরিবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনে উসকানি দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কর্মকর্তাদের সম্মেলন থেকে আগামী ৪ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। গত রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছেন, ওইদিন তাদের কোনো কর্মসূচি নেই।
এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়াকে আন্দোলনরতদের পিছিয়ে পড়ার নজির হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রকাশ্যে সরকার ও জনপ্রশাসন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করার পর থেকে আমলারা নানা চাপে আছেন। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। খো
এমন পরিস্থিতিতেও ফুরফুরে মেজাজে আছেন কয়েকটি ব্যাচের কর্মকর্তারা। কারণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ হলে প্রশাসন ক্যাডারের ১৫ ও ১৭ ব্যাচ থেকে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা সচিব হওয়ার সুযোগ পাবেন।