আন্দামান সাগরের এক একলা দ্বীপে এক সাধু যখন একটা পাখির কিচিরমিচিরে অতিষ্ঠ হয়ে ভাবছিল কীভাবে আরো একা হওয়া যায় তখন জাকার্তার জনাকীর্ণ সড়কে হাজার হাজার মানুষের ভীড় ঠেলে একটা লোক একা একা হেঁটে যাচ্ছিল।’
নিঃসঙ্গতা এমনই, কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের ওপরের কথাটার মতোই। কখনো আপনি একা থেকেও নিঃসঙ্গ নন। আবার কখনো হাজার মানুষের ভিড়ে একা। সময়ের বাস্তবতায় এখন দ্বিতীয় কথাটিই অধিক সত্য হয়ে ধরা দেয়।
অবসর জীবনে একাকীত্ব এবং অসুখী হওয়া একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে কিছু অভ্যাস পরিহার করে আমরা সুখ এবং পরিপূর্ণতার দিকে নিজেদের জীবনকে পরিচালিত করতে পারি। এই অভ্যাসগুলো অনেক সময় নজরে আসে না, তবে তা আমাদের মানসিক অবস্থা এবং সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
এগুলো প্রথমে তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু তাদের সম্মিলিত প্রভাব আমাদের সার্বিক কল্যাণের উপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। এই নিবন্ধে আমরা সাতটি নির্দিষ্ট অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করব যা একাকীত্ব এবং অসুখের কারণ হতে পারে। এই অভ্যাসগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আমাদের আচরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি, যেমন আমরা অন্যদের সাথে কিভাবে মিথস্ক্রিয়া করি এবং নিজেদের প্রতি কেমন আচরণ করি। এটি কেবল আপনার মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে না, বরং এটি অন্যদের সাথে আপনার সম্পর্ককেও উন্নত করবে।
এই অভ্যাসগুলো চিহ্নিত করে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উদ্যোগী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। একাকীত্ব এবং অসুখী হওয়ার জন্য কিছু অভ্যাস দায়ী, যেমন:
(১)নিজেকে আলাদা রাখা: অতিরিক্ত বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে।
(২) নেতিবাচক আত্ম-সংলাপ: আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে, একাকীত্ব বাড়ায়।
(৩) পরিবর্তন এড়ানো: নতুন অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে দূরে রাখে।
(৪) নিজের যত্ন না নেওয়া: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
(৫) মনের মধ্যে ক্ষোভ ধরে রাখা: সম্পর্ক এবং মানসিক শান্তি নষ্ট করে।
(৬) অতীতে বেঁচে থাকা: বর্তমান এবং ভবিষ্যত থেকে বঞ্চিত করে।
(৭) উদ্দেশ্য বা দিকনির্দেশনার অভাব: জীবনের মানে এবং সংযোগ কমিয়ে দেয়।
এই অভ্যাসগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো থেকে মুক্তি পেলে সুখী এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন যাপন সম্ভব।