রোববার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩ পৌষ ১৪৩১

শিরোনাম: সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ   সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের আবেদন নিতে অস্থায়ী সেল গঠন   স্বতন্ত্র বিচার বিভাগ ও বিচারপতি নিয়োগ কাউন্সিল গঠন দ্বারপ্রান্তে: সুপ্রিম কোর্ট   দেউলিয়ার পথে থাকা ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে: গভর্নর   পুলিশ এখনো থানায় টাকা খাচ্ছে : সারজিস   অর্থপাচার কমে গেছে, রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর   ভারতে নো এন্ট্রি ফর বাংলাদেশি: ফ্যাক্ট চেক যা বলছে   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রোগীর স্বজন ও সাংবাদিককে মারধর, ৩ আনসার সদস্য বরখাস্ত
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধর করেছেন কয়েকজন আনসার সদস্য। এ ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে এক সাংবাদিক আনসার সদস্যদের কাছে গেলে তাকেও মারধর করে মোবাইল ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন আনসার সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তকৃতরা হলেন—আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আকবর আলী ও রাশেদুল ইসলাম।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সন্তানের নেবুলাইজার আনার জন্য নার্সের কাছে ধরনা দিচ্ছিলেন নগরীর তালতলা এলাকার আব্দুল বাতেন মিয়া। এ নিয়ে সেখানে আনসার সদস্যরা বাতেন মিয়াকে বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে সেখানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান স্থানীয় পত্রিকা বায়ান্নর আলোর স্টাফ রিপোর্টার ফেরদৌস জয়। এ সময় জয় আনসার সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোন এবং পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে তাকেও মারধর করা হয়।

এরপর অবস্থা বেগতিক দেখলে অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান এবং আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছুটে যান সাংবাদিক নেতারাও।

মারধরের শিকার স্থানীয় দৈনিক বায়ান্নর আলোর স্টাফ রিপোর্টার ফেরদৌস জয় জানান, সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের একটি কক্ষে মারধরের শিকার ওই রোগীর স্বজনকে আটকে রাখা হয়েছে। 

আমি তার ভিডিও ইন্টারভিউ নিতে গেলে উপস্থিত আনসার সদস্যরা আমাকে হেনস্তা করেন, গালাগালি করেন এবং আমার মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। এ খবর শুনে আমার সাংবাদিক সহকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং এর প্রতিবাদ করেন। আমাদের প্রতিবাদের সঙ্গে যোগ দেন রোগীর স্বজনরাও। একপর্যায়ে সেখান থেকে অভিযুক্ত পালিয়ে যান আনসার সদস্যরা।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, আনসার, সাংবাদিক এবং পুলিশের যৌথ বৈঠকে আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আকবর আলী ও রাশেদুল ইসলামকে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার এবং সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তিন আনসার সদস্যের কোথাও দায়িত্ব পালন না করারও সিদ্ধান্ত হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোন এবং পরিচয়পত্র ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আনসারের রংপুর সদর উপজেলা পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। তদন্ত করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]