প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
চাদঁপুরে এমভি আল-বাখেরা কার্গো জাহাজে সাত নৌযান শ্রমিক নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরন সহ বিভিন্ন দাবীতে কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিকরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসুটি অনুযায়ী মোংলা বন্দরেও শুক্রবার মধ্যরাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে লাগাতার এ কর্মবিরতী পালন করছে তারা।
চাদঁপুরে পন্য বোঝাই কার্গো জাহাজে একই সাথে ৭ শ্রমিক নিহত হয়। সেই মামলায় একজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা গ্রেফতার হয়নি। তাদের গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকের প্রতি পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, নৌপথে ডাকাতী ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতির শুরু করে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা জানান, ২৩ ডিসেম্বর রাতে চাঁদপুরে সার বোঝাই জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এক সাথে ৭ শ্রমিকে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা এটি পূর্ব পরিকল্পিত। তাই এ কার্গো জাহাজে নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, এ হত্যার সাথে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে সত্যতা উদঘাটন এবং তা শনাক্ত করে গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধ সহ বিভিন্ন দাবী ফেডারেশনের।
তবে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ২৫ ডিসেম্বর মোংলা শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ থেকে কর্মবিরতীর আলটিমেটস দেয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। এজন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মালবাহী, তৈল-গ্যাসবাহী, বালুবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে। এতে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা ১৫ টি বানিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। দুইটি বন্দর ত্যাগ করবে এবং নতুন আরো একটি বন্দরে প্রবেশ করবে৷ লাগাতার কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে এসকল জাহাজের পন্য খালাস-বোঝাইয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্ভাবনা বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ।
নৌযান শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চালিয়ে যাবে বলেও জানায় ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা। তবে যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।