প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাষ্ট্র পরিচালিত স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করে মাসে বেতন পান ১৩ হাজার রুপি (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার টাকা)। অথচ এই বেতনে চাকরি করেও প্রেমিকাকে দিয়েছেন বিলাশবহুল একটি ফ্ল্যাট এবং নিজে কিনেছেন গাড়ি। যার জন্য খরচ হয়েছে ২১ কোটি রুপি বা ২৯ কোটি টাকা।
অভিযোগ রয়েছে বিশাল অঙ্কের অর্থ চুরি করে তা প্রেমিকাকে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ভারতের মহারাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভি
হার্ষাল কুমার ক্ষীরসাগর ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের বিভাগীয় স্পোর্টস কমপ্লেক্সে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তবে হার্ষালকে সমর্থনের অভিযোগে যশোদা শেঠী এবং তার স্বামী বিকে জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অর্থ চুরি করার জন্য ২৩ বছর বয়সী ওই যুবক সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইমেইল করার জন্য প্রতিষ্ঠানের পুরাতন লেটারহেড ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানের ইমেইলের সঙ্গে মিল রেখে নতুন একটি ইমেইল খুলে সে। নতুন মেইলে শুধু একটি অক্ষর পরিবর্তন করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ইমেইল মনে করে লেনদেনের যাবতীয় সুবিধা প্রদান করে। আর এতে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পায় হার্ষাল।
পুলিশ জানিয়েছে, অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পর ১.২ কোটি রুপি দিয়ে বিএমডব্লিউ গাড়ি, ১.৩ কোটি রুপি দিয়ে এসইউভি এবং ৩২ লাখ রুপি খরচ করে বিএমডব্লিউ বাইক ক্রয় করে হার্ষাল। এছাড়া সে তার প্রেমিককে ছাত্রপতি সম্ভাজিনগরে বিমানবন্দরের পাশে একটি ফ্ল্যাট কিনে দেন। একই সঙ্গে তিনি তার প্রেমিকের জন্য হীরা খচিত একটি চশমা ক্রয় করেছিলেন।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার প্রশান্ত কদম বলেন, স্পোর্টশ কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তিন ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করেন। এদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছেন।