হাসিনা-সালমান-জিয়াউলকে দায়মুক্তির চেষ্টা, কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশ: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তিন আলোচিত আসামিকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল গির্জা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমনটি জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে কর্মকর্তা এমন কাজ করেছেন, তাঁকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তবে ছুটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের কাজ কখনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এভাবে চার্জশিট বা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নিয়ম নেই। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা সেটা মানেননি।’
আজ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত সবুজ ও শাজাহান হত্যা মামলায় তিন আসামিদের দায়মুক্তি দিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালতে জমা দেওয়ার আগেই বিষয়টি নজরে আসে।
এদিকে চাঁদপুরের মেঘনায় বহুল আলোচিত সারবোঝাই কার্গো জাহাজে সাত খুনের ঘটনার দ্রুত সুরাহা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় যাঁরা খুন হয়েছেন তাঁদের সবার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খুনের ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে এরই মধ্যে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাজে হামলার শিকার আটজনের সঙ্গে ছিলেন ইরফান। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এখনো জানা যায়নি। তবে, ইরফান জবানবন্দি দিয়েছে। খুব দ্রুত এই মামলার সুরাহা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে দুজন মারা যান। তাঁরা সবাই জাহাজের স্টাফ। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাইমচর থানায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন জাহাজটির মালিক মাহবুব মোর্শেদ।