প্রকাশ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পেছনে টেসলারর সিইও ইলন মাস্কের বড় ভূমিকা ছিল। মার্কিন রাজনীতিতে তার প্রভাবও বাড়ছে। ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্ককে নতুন একটি দফতরের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
সবমিলিয়ে ট্রাম্পের প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাবের কারণে ইলন মাস্ককে ‘প্রেসিডেন্ট মাস্ক’ বলে কটাক্ষ করছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। তবে এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় রোববার (২২ ডিসেম্বর) মাস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অ্যারিজোনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি, তিনি ( মাস্ক) প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন না। জানেন কেন তিনি পারবেন না? কারণ তার জন্ম হয়নি এই দেশে।’
ইলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির একজন প্রেসিডেন্টকে আমেরিকাতেই জন্ম নিতে হবে।
মাস্কের কাছে প্রেসিডেন্ট পদ হস্তান্তরের বিষয়ে ট্রাম্প উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘না, এমনটি ঘটছে না।’
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সরকারি অর্থায়ন বিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সদ্যই তৈরি হওয়া অচলাবস্থার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ট্রেন্ড হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট মাস্ক’ শব্দটি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ইলন মাস্কের প্রভাব ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। একজন অনির্বাচিত নাগরিক কীভাবে এত বেশি ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইলন মাস্কের প্রভাবে একটি সরকারি তহবিল প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেছে। এ কারণে খোদ রিপাবলিকানদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেকারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ, ‘শাটডাউন’ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। দেশকে এই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল মাস্কের। যদিও শুক্রবার মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বিলটি পাস হয়।