প্রকাশ: রোববার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা শাহবাগ মোড় অবরাধ করেন। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, দেড়টার দিকে চিকিৎসকরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা কথা বলে তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এদিকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত না হওয়ায় সারাদেশে আবারও কর্মবিরতিতে নেমেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির (ডিএমজেএস) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নুরুন নবী জানান, ডাক্তারদের অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি ও তার সহযোগী সংগঠন পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (পিপিটিডিএ) ২০২২ সাল থেকেই বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের যৌক্তিক দাবি—ভাতা বৃদ্ধির জন্য রাজপথে আন্দোলন করে আসছে।
সংগঠনটি জানায়, স্বাস্থ্যখাতের স্টেকহোল্ডার-বিসিপিএস, বিএসএমএমইউ, স্বাস্থ্য শিক্ষা মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সচিব ও সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানসহ সবাই ভাতা বৃদ্ধির দাবিকে যৌক্তিক বলেছেন। দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে কথাও দিয়েছেন। এছাড়া ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নথি যথার্থ ধাপ পার করে অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে নথিভুক্ত হয়ে পড়ে আছে। এর প্রতিবাদে গত ১৪ ডিসেম্বর, ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি এর নেতৃত্বে শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয় এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামও ঘোষণা করা হয়েছিল।
সংগঠনটি আরও জানায়, ১৫ ডিসেম্বর ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস থেকে দুজন মুখপাত্র ডা. জাবির হোসেন এবং ডা. তানভীর আহমেদ, নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ডা. আহাদ এবং ডা. আশরাফ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র সারজিস আলমসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে মিটিং করা হয়। আশ্বস্ত করা হয় সেদিনই (১৫ ডিসেম্বর) এই নথিটি অনুমোদন দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আজ পর্যন্ত ভাতা বৃদ্ধির নথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়নি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।