শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬ পৌষ ১৪৩১

শিরোনাম: রাজশাহীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩   উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’   প্রতি বোতল কোক জীবন থেকে কেড়ে নেয় ১২ মিনিট: গবেষণা   বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন   জাহাজ থেকে পালানো ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা   ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির ঘোষণা   সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন দুইদিনের রিমান্ডে   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
খাগড়াছড়িতে শীতের আগমনে পিঠা বিক্রির ধুম
আরিফুল ইসলাম মহিন, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

তিনটি চুলা, তাতে তিনটি চিতই পিঠা তৈরির পাতিল বসানো হয়েছে আর একটি চুলাতে বসিয়েছেন ভাপা পিঠা তৈরির পাতিল,  বাটিতে দুধমিশ্রিত চালের গুঁড়া দিয়ে তার ওপরে গুড়, নারকেল ছিটিয়ে দিয়ে ভাপে দিচ্ছেন দোকানি। সেই পিঠার জন্য চুলার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েক ক্রেতা। ধোঁয়া ওঠা গরম-গরম পিঠা চুলা থেকে নামতেই যাচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। কেউ খাচ্ছেন, কেউ কেউ প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছেন বাসাবাড়ির জন্য।

পৌষের শীতের সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায় মাসুদুর রহমানের ভাপা পিঠার দোকানের চিত্র এটি। মাসুদুরের মতো অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান রয়েছে শহরের আনাচকানাচে। সন্ধ্যা হলে প্রতিটি দোকানেই পড়ে পিঠা বিক্রির ধুম।

দিন দিন বাড়ছে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান। বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে চান অনেকেই। তবে শীতের পিঠার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কেউ। এ কারণে খাগড়াছড়ি শহরের , খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, বাজার, মধুপুর, ভাঙ্গা ব্রীজ, বটতলী, মোল্লাপাড়া, চেঙ্গী স্কোয়ার সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়

মৌসুমি পিঠাপুলির দোকানে ভিড় লেগেই থাকছে। এসব দোকানে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে।

দোকানি মাসুদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ২০-২৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন। ১৫ বছর ধরে শীত মৌসুমে এ ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তাঁর বানানো পিঠা কিনতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। আগে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আয় হতো তাঁর। এখন সব জিনিসের দাম বাড়াতে পিঠা তৈরির খরচ বেড়েছে। সব খরচ বাদে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা লাভ থাকছে তার।

সপ্তাহ ধরে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যার আগ থেকেই দোকানিরা তাঁদের পিঠার পসরা বসাচ্ছেন সড়ক কিংবা বাড়ির পাশের গলিতে। চুলায় আগুন জ্বেলে একের পর এক পিঠা বানাতে থাকেন তাঁরা। অন্যদিকে ক্রেতারা গরম-গরম পিঠা সাবাড় করতে থাকেন। এসব দোকানে ১০ টাকায় চিতই পিঠা, ২৫ টাকায় ডিম চিতই, ১০ টাকায় ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। চিতই পিঠার সঙ্গে সহজে ধনেপাতা, মরিচবাটা, শুঁটকির ভর্তা বিনা মূল্যে মেলে।

বাজার এলাকার পিঠা বিক্রেতা জসীম বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চালের চিতই পিঠা বিক্রি করেন তিনি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার চাহিদাও বাড়ছে। দুধ চিতই বানাতে এলাকার মানুষ প্রতিদিন আসছেন, পিঠার অর্ডার করে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ চুলার আগুনের পাশে বসেই দু-চারটি করে পিঠা খেয়ে যাচ্ছেন।

পিঠার ক্রেতারা বলেন, শীত বাড়লে পিঠা না খেলে চলে না। বাড়িতে শীতের পিঠা বানাতে চাল গুঁড়া করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই শীতের পিঠার স্বাদ নিতে ভাসমান দোকানগুলোর ওপর ভরসা করে থাকেন তারা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]