শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬ পৌষ ১৪৩১

শিরোনাম: আজ বিছানা না গোছানোর দিন   সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক   রাজশাহীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩   উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’   প্রতি বোতল কোক জীবন থেকে কেড়ে নেয় ১২ মিনিট: গবেষণা   বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন   জাহাজ থেকে পালানো ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মারা গেছেন ‘উজান ভাটি’র নির্মাতা সি বি জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

‘উজান ভাটি’সহ বেশ কিছু নন্দিত সিনেমার পরিচালক সি বি জামান মারা গেছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় তিনি মারা গেছেন। 

তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতার ছেলে সি এফ জামান। গত ১৩ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাথরুমে পড়ে যান সি বি জামান। এর পরপরই তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। সেদিন তিনটার দিকে তাকে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিইউতে নেন। সেসময় চিকিৎসকেরা ধারণা করেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন সি বি জামান।

পরে সি বি জামানের ছেলে সি এফ জামান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, আব্বু হার্ট অ্যাটাক করেছেন। সেই সাথে তার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকায় তার হার্টের চারপাশে পানি জমেছে। ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেছে, হিমোগ্লোবিন কমে গেছে। আপাতত ব্লাড ম্যানেজ করে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, এরপর অন্য ট্রিটমেন্টে যাবে।

সি এফ জামান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের পরিবারের সদস্যদের দাফন সিলেটের শাহ জালাল দরগাহ শরীফের কবরস্থানে হয়। সেভাবেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এর আগেও বেশ কয়েকবার স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ এই পরিচালক। সর্বশেষ গত বছরের এপ্রিল মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আজ হঠাৎ তার প্রয়াণের খবর পাওয়া গেল।

১৯৬৬ সালে লাহোর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন সি বি জামান। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সরাসরি সিনেমা পরিচালনায় সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এ সময়ে তিনি নির্মাণ করেন ঝড়ের পাখি (১৯৭৩), উজান ভাটি (১৯৮২), পুরস্কার (১৯৮৩), শুভরাত্রি (১৯৮৫), হাসি (১৯৮৬), লাল গোলাপ (১৯৮৯) ও কুসুম কলির (১৯৯০) মতো কালজয়ী সব সিনেমা।

ব্যবসায়িকভাবে সফলতার পাশাপাশি ‘পুরস্কার’ সিনেমাটি ১৯৮৬ সালে ৬ শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি ‘পুরস্কার’ চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের ‘গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, ‘দিল্লী ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ ও রাশিয়ার ‘তাশখান্দ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]