প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৮ পিএম আপডেট: ১৯.১২.২০২৪ ৭:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কাকরাইল মসজিদের ইমাম মুফতি আজিমুদ্দীন বক্তব্য দিচ্ছেন
বিগত সাড়ে তিন মাস ধরে প্রশাসনের নানা স্তরে গেলেও, যোগাযোগ করেও কোনও সাড়া পাননি বলে অভিযোগ সাদপন্থিদের। এ কারণে ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলেই মনে করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিরপুর-১ এ একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মুফতি আজিমুদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে শান্তি, সম্প্রীতি ও সমঝোতার আহ্বান করেছি। তারা বারবার নিরাশ করেছেন। তারা উত্তর দেননি। অব্যাহতভাবে প্রশাসনের সকল পর্যায়ে গেছি, কোথাও দশবার, কোথাও বেশি, কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন সাদ অনুসারীরা। দাবিগুলো হচ্ছে, বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার সুযোগ; টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান সরকার নিয়ন্ত্রণে রেখে সাদপন্থিদের ইজতেমার আগে ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া; বিশ্ব ইজতেমা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করা; সারাদেশে সাদপন্থিদের উপর আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধ; মসজিদে-মসজিদে বাধা সৃষ্টি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ ও তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
কাকরাইল মসজিদের ইমাম মুফতি আজিমুদ্দীন বলেন, ‘গতকাল তিনজন নিহতের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করছি। এই সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য সাড়ে তিন মাস আমরা চেষ্টা করেছি।’
দেশের আলেমদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবলিগ জামাতের ক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ যেমন নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখেছে, আপনারাও সেই ভূমিকা পালন করুন। আমরা আরশাদ মাদানিসহ শীর্ষ আলেমদের কাছে পরামর্শ করেছি। কিন্তু তারা (জুবায়েরপন্থিরা) সব উপেক্ষা করে তুরাগ নদীকে রক্তের সাগরে ভাসাতে চেয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জুবায়েরপন্থিরা পশ্চিম পাড়ে এসে উসকানি দিয়েছে। এই মাঠ যেহেতু সরকারের, সরকারের নিয়ন্ত্রণেই রাখা হোক। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রাখলে হত্যাকাণ্ড হতো না।’
মুফতি আজিমুদ্দীন বলেন, ‘আমরা এখনও প্রশাসনের উপর আস্থা রাখি। আমরা দেখেছি তারা আন্তরিক। আমরা মনে করি, সরকার এত দুর্বল না, কোনও উগ্রবাদী দাবি মানাতে পারে। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে যাবো। তাদের নিয়ন্ত্রণে মাঠ থাকবে।’
তাবলিগে সৃষ্ট বিভক্তি, মামুনুল হক ও জুবায়েরপন্থিদের নৃশংস হামলা এবং তাবলিগ নিয়ন্ত্রণের ষড়যন্ত্রের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন সাদপন্থিরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, মুফতি মুআজ বিন নূর, মুফতি শফিউল্লাহ, মুফতি আজিমুদ্দীন, মাওলানা আনাস প্রমুখ।