শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬ পৌষ ১৪৩১

শিরোনাম: আজ বিছানা না গোছানোর দিন   সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক   রাজশাহীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩   উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’   প্রতি বোতল কোক জীবন থেকে কেড়ে নেয় ১২ মিনিট: গবেষণা   বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন   জাহাজ থেকে পালানো ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
চতুর্থ কিস্তিতে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ

৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নতুনভাবে আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও আইমএএফ প্রতিনিধি দল।

চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে। প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শেষে আজ বুধবার বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্যের বিষয়টি জানায়।

এ প্রতিনিধিদলের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফের আগামী নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে অনুমোদন সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। নতুন ঋণের বিষয়টিও ওই বোর্ড সভার অনুমোদন নিতে হবে।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে সম্প্রতি আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায় মিশন।

আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়েছে। দেশ থেকে যে অর্থ বেরিয়ে গেছে, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত থেকে যে অর্থ বিদেশে চলে গেছে, তা বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি করেছে। পাশাপাশি একদিকে রাজস্ব আদায় কমেছে, অন্যদিকে খরচের চাপ বেড়েছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ আরও জোরদার হয়েছে আর্থিক খাতের ধকলের কারণে।

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে গণ–আন্দোলন, বন্যা এবং সংকোচনমূলক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছে আইএমএফ। তবে নীতি শিথিল হলে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়ার প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি। কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ এবং সরবরাহ–ব্যবস্থায় উন্নতির ফলে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে মনে করে আইএমএফ। তবে অর্থনীতিতে গভীর অনিশ্চয়তা আছে বলেও মন্তব্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কর অব্যাহতি অপসারণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের রাশ টেনে ধরা, মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা, বিনিময় হার আরও নমনীয় করা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে কর–রাজস্ব অনুপাত কম। তাই একটি স্বচ্ছ ও ন্যায্য রাজস্ব–ব্যবস্থা গড়ে তুলতে জরুরি ভিত্তিতে রাজস্ব–সংক্রান্ত সংস্কার করতে হবে।

ব্যাংক খাতের দুর্বলতা দূর করার পরমার্শ দিয়ে আইএমএফ বলেছে, দ্রুত যেসব কাজ করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করা, বর্তমানে যেসব নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার কার্যকর বাস্তবায়ন এবং আর্থিক খাতে পুনর্গঠনের জন্য একটি রোডম্যাপ বা পথনকশা তৈরি করা। আর্থিক খাতের সংস্কার কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে সংস্থাটি।

এ ছাড়া বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং তৈরি পোশাকশিল্পের বাইরে রপ্তানি খাত আরও বৈচিত্র করতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সুশাসন বৃদ্ধি করতে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]