প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৪১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাইরে এক গণকবরে অন্তত এক লাখ লোককে সমাহিত করা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে এদের সবাইকে হত্যা করা হয়। সিরিয়া নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাডভোকেসি সংস্থা সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দাবি করেছে।
সংস্থাটির প্রধান মুয়াজ মোস্তাফা রয়টার্সকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, দামেস্ক থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল-কুতাইফাহে অবস্থিত এই গণকবরটি পাঁচটি গণকবরের একটি। কয়েক বছর ধরে কাজ করে তিনি এসব গণকবর চিহ্নিত করেছেন বলে দাবি করেছেন।
মোস্তাফার দাবি, এই গণকবরে যে এক লাখ লোককে সমাহিত করা হয়েছে- এটি কম অনুমান। এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে জানান তিনি।
সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্সের প্রধানের দাবি, তার চিহ্নিত করা পাঁচটি গণকবরের চেয়ে আরও অনেক গণকবর আছে। এসব গণকবরে শুধু সিরিয়ানরা নয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের লাশও আছে।
তবে রয়টার্স বলছে, মোস্তাফার এসব দাবির সত্যতা তারা যাচাই করতে পারেনি।
২০১১ সালে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করা হয়। সেইসময়ে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ধারণা করা হয়, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কয়েল লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
মোস্তাফা জানান, আসাদের পতনের পর তিনি সিরিয়ায় যান। রয়টার্সকে তিনি বলেন, সিরিয়ার বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা শাখা দায়িত্বে ছিল মরদেহগুলো সামরিক হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা। এরপর সেগুলো বিভিন্ন গোয়েন্দা শাখায় পাঠানো হতো এবং পরে গণকবরের পাঠানো হতো।
মোস্তাফার দাবি, মরদেহগুলো দামেস্কের পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গণকবরে পাঠানো হতো।