প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে রাজশাহীতে কোনো বাস চলাচল করছে না।
তবে বাইরের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো রাজশাহী থেকে ফিরে যেতে পারছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এর আগে সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অন্তত পাঁচজন বাস শ্রমিককে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা বেধড়ক মারধর করেন। এতে বাসচালক স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও কন্ডাক্টর জিয়া আহত হন। এরপর তাদের মারধরের জের ধরে রাজশাহী থেকে আন্তঃজেলা রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একই ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার দুপুর ১টার দিকে মোটরশ্রমিকরা হঠাৎ মহানগরীর শিরোইলে থাকা ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডের দিকে আসতে চাইলে রাজশাহীর মোটরশ্রমিক নেতা হেলাল উদ্দীন সেখানে যান এবং বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উত্তেজিত না হওয়ার আহ্বান জানান।
তবে তার এ আহ্বান উপেক্ষা করে কিছু বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো ভাঙচুরের উদ্দেশে রেলগেটের দিকে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করেন। তবে বাস চলাচল শুরু হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাস বন্ধই ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, শ্রমিকরা বাস ছাড়ছে না। রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ আছে। শুধু বাইরে থেকে আসা বাস চলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তানোরে তাদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিককে মেরে আহত করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। পুলিশ এখনও মামলা নেয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের এ সমস্যা অনেক পুরোনো। এরা শহরে গেলে তাদের সিএনজি আটকানো হয়। এরা তখন তানোরে বাসের চালক-হেলপারদের দাপট দেখায়। এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। তবে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। তারা অভিযোগ দিয়ে গেছেন। মামলা নেওয়া হচ্ছে।