প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রী কলেজের হলরুমে একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে, যেখানে নিকাব পরে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া নিয়ে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কলেজের অধ্যক্ষ কামাল হোসেন মজুমদার আজ রোববার একটি জরুরি সভায় শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
গত শুক্রবার মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) সমাজতত্ত্ব পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থী উম্মে আন্জুমানয়ারা নিকাব পরে পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিকাব খুলে পরীক্ষায় বসতে হবে। এতে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি, যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
এই ঘটনার পর আজ সকালে মাটিরাঙা সেনা জোনের আয়োজিত একটি সভায় কলেজ অধ্যক্ষ কামাল হোসেন মজুমদার এবং অন্যান্য শিক্ষকরা সবার সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অধ্যক্ষ বলেন, ‘শুক্রবার শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটবে না, এবং আমি ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রেখে আমার দায়িত্ব পালন করব।’
এছাড়া, মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর আলম, মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম তৌফিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থী উম্মে আন্জুমানয়ারা বলেন, ‘অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা ক্ষমা চেয়েছেন, তাই আমি আর এই বিষয়টি নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে চাই না। আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, ‘অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে এবং তাকে বদলি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে, আমরা এখনও লিখিত আবেদন পাইনি।’
এ ঘটনার পর প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মীমাংসা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।