মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে ১২ জন আলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ও রাতে তাদের আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে। জানিয়েছে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় কাপাসিয়া থানায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলা নং৪ তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪।
কাপাসিয়ার দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোলায়মান মোল্লা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঘাগটিয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আফজাল হোসেন ওরফে রিংকন (৩০), একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ও ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মারুফ(২৫), জয়নাল আবেদিনের ছেলে ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ(৪৫), খিরাটি গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে ও ঘাগটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ (৪৫), সালদৈ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লোকমান মোল্লা (৪২), কামারগাঁও গ্রামের মো. সানাউল্লাহর ছেলে ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য রাশেদুল আলম (৪৪), কামারগাঁও গ্রামের দবির মাস্টারের ছেলে ও কাপাসিয়া উপজেলা পোস্টমাস্টার শরীফ (৪১), সে ঘাগটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য। কামারগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রহিম মোল্লা (৪৬), খিরাটি গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শামসুল আলম (৫২), খিরাটি গ্রামের আমির উদ্দিন মাঝির ছেলে ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আতাউর রহমান (৪২) , সালদৈ গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে জিহাদ (২৪) ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার লাখপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে দুলাল মিয়া (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন ধাঁধার চরে ব্যাপক লোকজন নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন তারা। এই পরিকল্পনার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পলাতক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ওরফে হিরণ মোল্লা।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার সময়ে তাদের আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়েছে।
ওসি বলেন, শনিবার তাদের আদালতে পাঠালে আদালত আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী সোলায়মান মোল্লাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মামলার ৬নং আসামী মারুফ জানান, আমরা পিকনিক করতে ধাঁধারচর গিয়েছিলাম। নাশকতার অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।