প্রকাশ: রোববার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার পথে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে মৃত্যু হয়েছে মো: হাকমত আলি খান ( ৪৪) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশীর।
শনিবার দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সকল প্রক্রিয়া শেষে বিমানে ওঠার আগ মুহুর্তের চেকিং এ মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় সময় ৩ টা ৪০ মিনিটে ঐ প্রবাসীর কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইউএস বাংলার-৩১৬ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিলো।
নিহত হাকমত আলি খানের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার সদর রসুলপুরে। তার বাবার নাম মো: ফজলুল হক খান ও মা ফিরোজা খাতুন। ইউ এস বাংলা বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মো: আমানুল হক মৃধা পলাশ জানান, অন্যান্য যাত্রির মতো হাকমত আলি খান বোর্ডিং সম্পন্ন করে ইমিগ্রেশন পার হন। এসময় সম্পূর্ন সুস্থ ছিলেন তিনি। বিমানে ওঠার আগমুহুর্তে সবশেষ চেকিং এর গেইটে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত চিকিৎসক এসে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে বিকাল ৪.৩৩ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্বাবধায়নে সেরডাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএসবাংলা'র এ কর্মকর্তা।
এদিকে ট্রাভেল এজেন্সি এনজেডট্রিপ কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৭ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুর অফিসে এসে হাকমত আলি খান নামে ঐ প্রবাসী কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার একটি বিমান টিকিট ক্রয় করেন। তার মৃত্যুর খবর দু:খজনক উল্লেখ করে, মরদেহ দেশে পাঠাতে সব ধরনের সহযোগীতারও আশ্বাস দেন এজেন্সি কর্তৃপক্ষ।
নিহত হাকমত আলি খানের মরদেহ দেশে পাঠাতে তার ভিসা প্রদানকারি এজেন্সি ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন অনুযায়ী বৈধ ভিসাধারির মরদেহ দেশে পাঠানোর দায় দায়িত্ব তার নির্ধারিত এজেন্সির উপর বর্তায়।