প্রকাশ: রোববার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:২৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
স্ত্রী শিলা আহমেদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল
২০১৯ সাল থেকে আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে সুশীল সমাজ কিংবা শিক্ষকদের মধ্যে যাকে ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি তাঁদের পাশে সবসময় পেয়েছিলেন তিনি হলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
কয়েকদিন আগেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আসিফ নজরুলকে নিয়ে বলেছিলেন,এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন, আগ্রাসনবিরোধী কর্মসূচি থেকে যখন জেলে গেলাম, সেসময়টায় যাকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছিলাম ওনি আমাদের আসিফ নজরুল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু মূহর্ত বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হতে দেখা য়ায়।
এমন একটা দেশে বসবাস করতেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন,আমার দুঃখ লাগে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু সে একজন বড় সরকারী কমকর্তা হওয়ার পর,সে আমাকে বললো আমি আর তোকে ফোন করবো না তুইও আর আমাকে ফোন করবি না। এমনকি তার মেয়ের বিয়েতে, যে মেয়েকে আমি ছোট বেলায় কোলে নিয়েছি তার বিয়েতে আমাকে দাওয়াত দিল না।
ছাত্রলীগ নেতার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল আরো বলেন, দাওয়াত দিল আমদের ক্লাসমেট এক ছাত্রলীগ নেতাকে।যার সাথে কোনদিন আমাদের কোন রকম ফ্রেন্ডশীপ ছিল না।আমার কাছে তখন মনে হতো আমাকে যদি তার বিয়েতে দাওয়াত দিত তাহলে কি তার চাকরি চলে যেত?
স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে আসিফ নজরূল বলেন, আমি কিন্তু মাঝেমাঝে মন খারাপ করে আমার স্ত্রীকে বলি, আমার কি কোনদিন এই জীবন আসবে কিছু করতে হবে না আমার কিছুই চিন্তা করতে হবে না আমার।
আমি শুধু ঘুমাবো আর লিখব আর লিখব।তো আমার স্ত্রী বলছে অবশ্যই আসবে। শখ করে কফি বানানো শিখছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,বলছে আমি কফি’র দোকান দিব তুমি শুধু লিখবা আর লিখবা।
আমার লেখালেখির মাঝখানে প্রায় ১৫ বছর গ্যাপ ছিল।আমি যে ১৫ বছর পর লিখতে পেরেছি এটা আমার স্ত্রীর জন্য।আমি ওর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।সবার সামনে বললাম ধন্যবাদ।