প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এ উপলক্ষে বাণী পাঠ, আলোচনা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা ও স্মরণসভা শুরু হয়। হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
এ সময় উপ-হাইকমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম খাঁন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য শুরু করেন হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, এ রকম বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রেখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।